প্রতীক ছাড়া উপজেলা নির্বাচন হলে বিএনপি অংশ নেবে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, আমরা বরাবরই বলি শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনের ধরণ সবাই দেখছেন বা জানেন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও প্রমাণিত হয়েছে। শেখ হাসিনা তো জনগণের ভোটাধিকারে বিশ্বাস করে না। তিনি প্রভুদের সমর্থন নিয়ে একতরফা তামাশার নির্বাচন করেছে। বিএনপির এখন পর্যন্ত যে সিদ্ধান্ত এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। দলের নীতিনির্ধারকরা পরবর্তী কোনো সিদ্ধান্ত নিলে নেবেন। অদ্যাবধি বিএনপির কোনো নির্বাচনে যাবে না।
রিজভী বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে বিভিন্ন অনলাইন ও সংবাদ মাধ্যম কাল্পনিক তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।
রিজভী প্রশ্ন তুলে বলেন, দেশের অভ্যন্তরে মানুষের যেমন নিরাপত্তা নেই সীমান্তে কি বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা রয়েছে? এতদিন দেখেছি, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে সাধারণ বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। আর এখন দেখছি, সীমান্তে বিজিবিরও নিরাপত্তা নেই। গতকালও যশোর সীমান্তের ধান্যখোলা বিওপির জেলেপাড়া পোস্ট—সংলগ্ন এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ‘র গুলিতে মোহাম্মদ রইসুদ্দীন নামে এক বিজিবি সদস্য নিহত হয়েছেন। অন্য দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে আরেকটা স্বাধীন দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী হত্যা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়, বরং এটির সঙ্গে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন জড়িত।
রিজভী বলেন, আমরা উদ্বেগের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি, শেখ হাসিনার ক্ষমতার লোভের ফলশ্রুতিতে নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশ আজ তাবেদার রাষ্ট্র। অবৈধ সরকার আজ দেশবিরোধী ঘৃণ্যচক্রান্তের ক্রীড়নক। সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি পর্যন্ত নিরাপত্তাহীনতায়। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ক্ষমতাসীন সরকারের আচরণ এখন আর ‘বন্ধুপ্রতিম’ নয় ‘বন্দুক প্রতিম’। সীমান্তে বিজিবি সদস্য বিএসএফের গুলিতে মারা গেছেন। এর কী জবাব দেবেন শেখ হাসিনা? অথচ এ নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, তাহসিনা রুশদির লুনা, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা মো. মুনির হোসেন, আসাদুল করিম শাহীন, আমিনুল ইসলাম, তারিকুল আলম তেনজিং, ছাত্রদলের ডা. তৌহিদ আউয়াল প্রমুখ।