আমাদের দেশের জন্য বড় একটা সুসংবাদ আছে। ভারতে বাণিজ্যমন্ত্রী আমাকে ফোন করেছিলেন শুভেচ্ছা জানাতে। বাংলাদেশে ভারত পেঁয়াজ ও চিনি রপ্তানি বন্ধ করেছিল। এখন ভারত থেকে ২০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চিনি আমদানি করা হবে। এছাড়াও ব্রাজিলসহ অন্যান্য দেশ থেকে তেল ও চিনি আসছে। তাই এবার রমজানে দেশে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের দেশের আমদানিকারক ও উৎপাদনকারীদের সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি। চিনি, তেল ও খেজুরের শুল্ক বেশি ছিল। সেই শুল্ক আমরা যাতে যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারি, সে বিষয়ে এনবিআরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহে একটা ঘোষণা আসবে।
তিনি বলেন, আমদানিকারক, লোকাল উৎপাদক, কৃষি বিভাগ, খাদ্য বিভাগ, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ বিভাগসহ সবার সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। তারা বলেছেন, রমজান উপলক্ষ্যে যথেষ্ট পরিমাণ আমাদের মজুত আছে। এছাড়াও আগামী তিন মাসের নিত্যপণ্য মজুত আছে।
কেউ কৃত্রিমভাবে দাম বাড়ালে ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়ে আহসানুল ইসলাম টিটু আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন- কেউ মজুত করে কৃত্রিমভাবে যাতে দাম বৃদ্ধি না করতে পারে সেদিকে আমাদের নজর রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাজার নজরদারি শুরু হয়েছে। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। উদ্যোক্তা থেকে ভোক্তা পর্যন্ত নিরবচ্ছিভাবে পণ্য পৌঁছে দেওয়া হবে। এছাড়াও এক কোটি মানুষকে টিসিবির কার্ড দিয়ে রমজানে ৫টি পণ্য দেওয়া হবে। আমাদের তালিকাটা নতুন করে সমন্বয় করা হবে। টিসিবির ডিলাররা যাতে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে পারেন, সে লক্ষ্যে স্থায়ী দোকান করা হবে।
এ সময় দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মারুফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হকসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।