পূর্বঘোষিত কালো পতাকা মিছিল থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেকমন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খানকে আটকের ঘণ্টাখানেক পর উত্তরা পশ্চিম থানা থেকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ৩টার পর থানা থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মঈন খানের ব্যক্তিগত সহকারী বাহাউদ্দীন ভূইয়া মিল্টন।
মিল্টন জানান, পুলিশ বলেছে- কালো পতাকা মিছিলের অনুমতি না থাকায় মঈন খানকে থানায় আনা হয়েছিলো। এখন তাকে বাসায় পাঠানো হয়েছে ।
এরআগে বেলা ২টায় সংসদ বাতিলের দাবিতে পূর্ব ঘোষিত কালো পতাকা মিছিল থেকে মঈন খানকে আটক করেছিলো পুলিশ। দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি, দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি, সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অবৈধ সংসদ বাতিলসহ এক দফা দাবি আদায়ে ঢাকা মহানগর উত্তরে (জোন-২) কালো পতাকা মিছিল বের করলে মিছিল থেকে তাকে আটক করা হয়।
এছাড়াও ড. আব্দুল মঈন খানসহ মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ আরও ১১ জন জনকে আটকের খবর জানা গেছে। আটককৃত অন্যরা এখনও ছাড়া পাননি।
গত ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর আন্দোলন বন্ধ করাটা ছিল বিএনপির সবচেয়ে বড় ভুল আর এই নির্বাচনের পর যদি আন্দোলন থেকে পিছপা হয়ে যায় তাহলে সামনের দিকে এগুনো অসম্ভব হবে এবং আবারো পাঁচ বছর জেল জুলুম নির্যাতন সহ্য করে পরবর্তী নির্বাচনের অপেক্ষা করতে হবে। আগামী দিন গুলো বিএনপির জন্য সবচেয়ে বাজে সময় হিসেবে চিহ্নিত হবে। সুতরাং আন্দোলন করেই জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে এর কোনো বিকল্প নাই।