৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, টাকা না পেলে মিথ্যা মামলা ও নিউজের হুমকি!

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় প্রবাসির বাড়ি গিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রবাসীর স্ত্রী মোছা: সালেহা খাতুন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাবুলিয়া এলাকার হামিদ সরদারের ছেলে মো: আমান উল্লাহ (৪৫) ও ইটাগাছা এলাকার মো: রশিদ (৪৬) নামের দুই ব্যক্তি ইটাগাছা এলাকার প্রবাসীর স্ত্রী মোছা: সালেহা খাতুনের বাড়ি গিয়ে তার স্বামী শেখ মুন্না হোসেন মজনুর কাছে পাঁচ লাখ টাকা পাবে বলে দাবি করে ও মিথ্যা মামলা, সাংবাদিকতার পরিচয় দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করারসহ হুমকি প্রদান করে।
এবিষয়ে প্রবাসীর স্ত্রী মোছা: সালেহা খাতুন বলেন, গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা ১টার দিকে আমার বাবার বাসায় এসে আমার স্বামীর কাছে ৫ লাখ টাকা পাওয়ার মিথ্য অভিযোগ করে এবং টাকা না দিলে মিথ্যা মামলা ও নিউজ করবে বলে হুমকি ধমকি প্রদান করে চলে যায়। পরে ওই দিন রাতে আবার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আমার বাসায় আসেন এবং বলেন- আপনি ৩০ হাজার টাকা দেন আমরা মিটিয়ে দিচ্ছি। টাকা না দিলে আমরা নিউজ করবো, মামলা করবো, তার থেকে আপনারা মিটিয়ে নেন, সেটা ভালো হবে। ৩০হাজার টাকা না পেয়ে পরদিন আবার তারা এসে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে।
বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানানোর পর সমাধানে ব্যর্থ হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
এসব বিষয়ে স্থানীয়রা জানায়, বেশ কয়েকদিন যাবৎ ইটাগাছা এলাকায় একটি চক্র বিভিন্ন বাড়িতে চাঁদাবাজি করে আসছে। কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে, তাদের মারধরসহ নানা রকম হুমকি দেওয়া হয়। এ জন্য ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায়না। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এসব চাঁদাবাজী করে ওই চক্র।
এই সব ভুয়া সাংবাদিক ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবী জানান স্থানীয়রা।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি তদন্ত মো: নজরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Check Also

বিএনপি নেতাকর্মীদের জড়িয়ে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দেবহাটায় মানববন্ধন

দেবহাটা প্রতিনিধি: স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুদের গ্রেফতার এবং বিএনপির …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।