আশাশুনিতে দুই শত বছরের অধিক পূজার স্থান ও বটবৃক্ষে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, সোমবার বিকালে আশাশুনি সদর ইউনিয়নের ধান্যহাটি গ্রামে জেলা পরিষদের পুকুর পাড়ে। সরেজমিন ঘুরে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আশাশুনি পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নীলকন্ঠ সোম বাড়ির পিছনে জেলা পরিষদের একটি পুকুর আছে।
স্থানীয় প্রাক্তন শিক্ষক শ্যামল সোম, গৌতম কুমার সোম, মুকুল সোমসহ অনেকেই জানান, দীর্ঘ ২শত বছরের বটবৃক্ষের নিচে আমরা পূর্ব পুরুষগণ থেকে এই স্থানে চড়ক পূজা, ষষ্ঠীপূজা, বানভোজনসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ক্রিয়া কর্ম করে থাকি। কিন্তু সোমবার বিকালে ৫টার পরে আমরা দেখি দাউ দাউ করে পূজার স্থানটিতে ও জীবিত বটগাছটি দাউ দাউ করে জ্বলছে। আমরা প্রাথমিকভাবে নিভানোর চেষ্টা করি কিন্তু ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে দীর্ঘ বয়সী বটগাছটি অধেক পুড়ে যায়। তবে স্থানীয় অনেকেই নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক অনেকেই জানান, জেলা পরিষদের পুকুরের চারিপাশ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করছে কে বা কারা। সেটি আমরাদের জানা নেই। আমরা জেলা পরিষদে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারি-এটি তাদের কাজ নয়। তবে গাছের নিচে উত্তর পাশে কিছু আবর্জনা স্তুপ করে সেখানে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে তাদের ধারনা। পরে সেটি বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে বলে স্থানীয়রা জানান।
এঘটনায় পরদিন মঙ্গলবার সকালে ৬টার দিকে আবারও উক্ত স্থানে আগুন লেলিহান শিখা ও গাছটি পুড়তে দেখে পুনরায় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা আবারও দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনের শিখা দেখে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ঐসময় স্থানীয়দের জানান, তেল জাতীয় কিছু দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে স্থানীয়রা এঘটনায় হতবাক ও মর্মাহত। দীর্ঘদীনের পূজা অর্চনার স্থান ও বটগাছটি পুড়িয়ে দেওয়ায় স্থানীয় সঞ্জয় সোম বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত হলে অবশ্যই উক্ত ঘটনাটির উদঘাটন হবে। তারা দ্রুত পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।