জেলায় চলতি মৌসুমে ৭৯৭২০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় এবার শীত ও দীর্ঘ সময় ধরে ঘন কুয়াশায় বোরো আবাদ নিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় পড়েছেন কৃষকেরা। শীতে বীজতলার বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে ফলে এখন চারা রোপনে সংকট দেখা দিচ্ছে। তবে এখন জেলার কৃষি অফিসগুলো গ্রামে গ্রামে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে শীতে বোরো আবাদের করণীয় সম্পর্কে কৃষকদের সচেতন করছেন।
তথ্যসূত্রে, গত কয়েক বছরে সাতক্ষীরায় বোরো মৌসুমে ব্লাস্ট রোগের কারণে কৃষক ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। জানা যায়, ব্রিধান-২৮ ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ বেশি দেখা যায় ফলে সাতক্ষীরার কৃষকেরা ব্রিধান ২৮ চাষে আগ্রহ হারিয়েছেন। এবছর বড় মৌসুমে সাতক্ষীরায় ব্রি ধান-৮৮, ব্রি ধান- ৯২, ব্রি ধান -২৫, তেজ গোল্ড, মদিনা-১, এসেল এইট ধানগুলো বেশি চাষ হচ্ছে। এ বিষয়ে দেবনগর গ্রামের কৃষক মো: মনিরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, শীতে বীজতলায় কম পাতা (চারা) জন্মেছে ফলে একটি দুটি কাটি দিয়ে রুতে হচ্ছে। এখন কোথাও আপনি অল্প টাকায় পাতা পাবেন না। ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজিতে পাতা বিক্রি হচ্ছে। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো: মনির হোসেন বলেন, সদর উপজেলায় আমরা চলতি মৌসুমে বোরো আবাদকে সামনে রেখে ৭৫০০জন কৃষককে প্রণোদনা দিয়েছি। তাছাড়া শীত এবং ঘন কুয়াশায় করণীয় সম্পর্কে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে কৃষকদের সচেতন করছি।শুধু তাই নয় বীজতলা বা বোরো ধানের কোল্ড ইনজুরি রোধে আমরা ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছি এবং কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছি।
Check Also
বিএনপি নেতাকর্মীদের জড়িয়ে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দেবহাটায় মানববন্ধন
দেবহাটা প্রতিনিধি: স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুদের গ্রেফতার এবং বিএনপির …