নওগাঁর মহাদেবপুরে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে সুমন হোসেন (৩২) ও তার স্ত্রী গোলাপী খাতুন (২৩) আত্মহত্যা করেছেন। গোলাপী খাতুন সুমনের দ্বিতীয় স্ত্রী। মাত্র চার দিন আগে তাদের বিয়ে হয় বলে জানা গেছে।
সুমন হোসেন ওই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ও গোলাপী খাতুন বাজিতপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দীন ওরফে গোল্লার মেয়ে। সে তার মা ও সৎবাবার সঙ্গে সরস্বতীপুর আকন্দপাড়ায় বসবাস করতেন। এর আগেও গোলাপী খাতুনের চারবার বিয়ে হয়েছিল। স্ত্রী, ১০ ও ৬ বছরের ২ শিশুপুত্র থাকার পরও ভালোবেসে মাত্র ৪ দিন আগে ১ সন্তানের জননী গোলাপীকে বিয়ে করে বাড়িতে তোলেন সুমন।
স্থানীয়রা জানান, স্ত্রী দুখিনী (২৮) বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সুযোগে গত রোববার গোলাপীকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসেন সুমন। একটিমাত্র থাকার ঘরে গোলাপীকে নিয়ে বসবাস করায় ১ম স্ত্রী তার শিশুসন্তানদের নিয়ে বারান্দায় বাস করতেন।
এদিন রাতে সুমন তার ১ম স্ত্রীর কাছে থাকতে এলে অভিমানে গোলাপী খাতুন বিষাক্ত গ্যাস বড়ি খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বিষয়টি জানতে পেরে সুমনও গ্যাসবড়ি খান। পরে পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে তাদের দুজনকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তাদের দুজনেরই মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে মহাদেবপুর থানার ওসি মো. রুহুল আমিন বলেন, এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।