চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘির মুঠোফোনে একটি কল ভেসে ওঠে। কলটি ধরার পর তাকে জানানো হয়, ‘বিকাশ অফিস থেকে বলছি। আপনার বিকাশে ভুলে ২৫ হাজার টাকা চলে গেছে। আপনার অ্যাকাউন্টটি ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। অ্যাকাউন্টটি চালু করতে হলে আপনার নম্বরে একটি ওটিপি কোড পাঠানো হবে। সেটি আপনি বললে আপনার অ্যাকাউন্টটি ঠিক করে দেওয়া হবে।’
দীঘি বলছিলেন, আমার বিকাশ অ্যাকাউন্টে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা ছিল। আমি কোনো কিছু বুঝতে না পেরে দ্রুত কোডটি তাদের দিয়ে দিই। কারণ অ্যাকাউন্ট তো ঠিক করতে হবে। পরক্ষণেই আমার অ্যাকাউন্টে থাকা এক লাখ ৬০ হাজার টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়। সাধারণত যে নম্বর থেকে বিকাশের মেসেজ আসে, সেখান থেকেই ওটিপি আসে। বোঝার সুযোগ কম ছিল। আর তিনি এত ভালোভাবে কথা বললেন, আমি বুঝতেই পারিনি উনি প্রতারক। এ ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি)।
এ ঘটনার পর আজ সোমবার প্রার্থনা ফারদিন দীঘি বলেন, ঘটনার পর শনিবার রাতে আমি রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। তার পর আমি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ স্যারকে বিষয়টি জানাই।
দীঘি বলেন, হারুন স্যার আমার কাছে থাকা সব ডকুমেন্ট নিয়ে যেতে বলেন ডিবিতে। আমি আর আমার বাবা (সুব্রত) গতকাল রোববার সকালে হারুন স্যারের কাছে যাই। সব ঘটনা খুলে বলি। স্যার রোববার রাতে আমাকে কল দেন। আজ সোমবার সকালে আবার ডিবি অফিসে যেতে বলেন। আমি আর বাবা যাই। পরে স্যার আমাকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা ফেরত দেন। এ ছাড়া অপরাধীকে আটক করেছেন বলে জানিয়েছেন।
প্রার্থনা ফারদিন দীঘি শিশুশিল্পী হিসেবে তার ক্যারিয়ার শুরু করেন। তিনি প্রয়াত নায়িকা দোয়েল ও অভিনেতা সুব্রতের মেয়ে।