কলারোয়া উপজেলা জামায়াতের প্রথম মহিলা সদস্য (রুকন) উপজেলা মহিলা বিভাগীয় সেক্রেটারী জাহানারা মালেকের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জতউল্লাহ, সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর মুহাদ্দিস রবিউল বাশার, সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা কামারুজ্জামান ও সেক্রেটারী মাওলানা শহিদুল ইসলাম।
এক যৌথ শোকবাণীতে নেতৃদ্বয় বলেন, জাহানারা মালেক একজন গুণী মহিলা ছিলেন। সমাজে ন্যায়-ইনসাফের ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। আমরা তার ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তার গুণাহখাতাগুলোকে ক্ষমা করে দিয়ে নেকিতে পরিণত করুন এবং তার কবরকে প্রশস্ত করুন। তার জীবনের নেক আমলসমূহ কবুল করে তাকে জান্নাতুল ফিরদাউসে স্থান দান করুন। তারা তাদের শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সববেদনা জানান এবং তাদের ধৈর্য ধারণের তাওফিক কামনা করেন।
জাহানারা মালেকের প্রথম জানাজার নামাজ গতকাল বাদ জোহর সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার তুলশি ডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা মাওলানা আব্দুল বারী। পরে বাদ আসর মরহুমের গ্রামের বাড়ি ৯নং হেলাতলার চেড়াঘাট গ্রামে নিজ বাড়িতে ২য় নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজা নামাজে ইমামতি করেন, সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমীর মুহাদ্দিস রবিউল বাশার। এসময় সাতক্ষীরা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম মুকুল, শেখ নুরুল হুদা, মাওলানা ওসমান গণিসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেষার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
অসুস্থ জর্নিত কারণে ২০ ফেব্রুয়ারী ভোররাতে ৭০ বছর বয়সে ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিলল্লহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। তিনি স্বামী, ৩ পুত্র ও ৩ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন। তিনি কলারোয়া উপজেলা জামায়াতের প্রথম রুকনের শপথ গ্রহণ করেন। তিনি সংগঠনের বিভিন্ন স্তরে দায়িত্ব পালন করেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি কলারোয়া উপজেলা শাখার রুকন হিসেবে কাজ করে গেছেন। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।
Check Also
যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …