বাসা ভাড়া বাঁচাতে কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার (ইউবিসি) এক ছাত্র সপ্তাহে দুবার বিমানে চড়ে কলেজে আসা-যাওয়া করেন। দেশটির ক্যালগারি শহরের বাসিন্দা টিম চেন নামক ওই ছাত্র। তার মতে, ভ্যাঙ্কুভারে মাসিক ভাড়া দেওয়ার চেয়ে বিমানে করে এসে ক্লাস করা তার জন্য সস্তা উপায়।
টিমের মতে, প্রতি ফ্লাইটে আসা যাওয়ায় তার খরচ হয় ১৫০ ডলার। আর মাসে খরচ হয় ১ হাজার ২০০ ডলার। কিন্তু ভ্যাঙ্কুভারে এক বেডরুমের অ্যাপার্টমেন্টের জন্য ভাড়া দিতে হয় প্রায় ২ হাজার ১০০ ডলার।
সামাজিক মাধ্যম রেডিটে টিম তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আমিইউবিসির একজন সুপার কমিউটার। আমি ক্যালগারিতে থাকি। সপ্তায় দুইদিন আমার দুটি ক্লাস হয় (মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার)। ক্লাস করার জন্য সকালের ফ্লাইটে ভ্যাঙ্কুভারে যাই এবং রাতে ক্যালগারিতে ফিরে আসি। আমার প্রতিটা ফ্লাইট ছিলো এয়ার কানাডায়। জানুয়ারিতে আমি এরকম ৭ রাউন্ড ট্রিপ করেছি। আমি খেয়াল করলাম এভাবে চললে আমার ভাড়া বাঁচে।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘যেহেতু আমাকে ক্যালগারিতে ভাড়া দিয়ে থাকতে হয় না। বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকি। আমাকে শুধু ইউটিলিটি বিল দিতে হয়। ভ্যাঙ্কুভারে ২ হাজার ডলার ভাড়া দেওয়ার চেয়ে এটি অনেক সস্তা।’
তার এই অভিজ্ঞতা অনেকের কাছে ভালো লাগলেও কেউ কেউ বলছেন ঘন ঘন বিমানে আসা যাওয়া করা ব্যস্ত এবং সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘এক ঘণ্টার যাতায়াত তেমন খারাপ নয়। কিন্তু এয়ারপোর্টে বারবার কাগজ পত্র দেখানো বিরক্তিকর। এছাড়াও সময়সূচীর বিষয় তো আছেই। আমি নিশ্চিত, একটি ফ্লাইট মিস হলেই সব শেষ।’
আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘আধুনিক সমস্যার আধুনিক সমাধান প্রয়োজন!’
বৃহস্পতিবার ইউবিসির সহযোগী ভাইস-প্রেসিডেন্ট অব স্টুডেন্ট হাউজিং অ্যান্ড কমিউনিটি সার্ভিসেস অ্যান্ড্রু প্যার বলেছেন, তিনি আবাসন সংকটে থাকা শিক্ষার্থীদের কষ্ট বুঝতে পারেন।
তিনি বলেন, ‘স্বীকার করছি ভ্যাঙ্কুভার ও কেলোনায় সাশ্রয়ী ভাড়ায় বাসা পাওয়া আমাদের কিছু ছাত্রের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। ভ্যাঙ্কুভারে তা বেশি কঠিন।’