ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিগোষ্ঠীতে যোগ দিতে ২০১৫ সালে যুক্তরাজ্য থেকে সিরিয়ায় পালিয়ে যাওয়া শামীমা বেগম ব্রিটেনে ফিরতে পারবেন না।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামীমা বেগমের জন্ম ও বেড়ে ওঠা যুক্তরাজ্যে। কিন্তু আট বছর আগে ব্রিটেন থেকে পালিয়ে সিরিয়ায় গিয়ে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কারণে তার নাগরিকত্ব বাতিল করেছিল ব্রিটিশ সরকার।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামীমা বেগম যখন যুক্তরাজ্য থেকে পালিয়ে যান, তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর।
তিনি একা যাননি। তার সঙ্গে আরও গিয়েছিল তার বন্ধু খাদিজা সুলতানা ও আমিরা আবাসিক খাদিজার বয়স ছিল ১৬ ও আমিরার ১৫ বছর। মনে করা হয় যে খাদিজা মারা গেছেন। কিন্তু আমিরার বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
শামীমার বাবা-মা যুক্তরাজ্যে থাকার সুবাদে ওখানেই শামীমা জন্মগ্রহণ করেন। তবে তার বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নেই।
২০১৯ সালে সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে শামীমাকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় পাওয়া যায়, যখন তার বয়স ছিল ১৯ বছর। শামীমা একতা সন্তান জন্ম দিয়েছিল। কিন্তু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সেই শিশুটি মারা যায়।
সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আল-রোজ নামক এক বন্দিশিবিরে বসবাস করছেন শামীমা।
ওই সময় জাতীয় নিরাপত্তার কারণে ব্রিটিশ সরকার শামীমার নাগরিকত্ব কেড়ে নিলে শামীমা সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করেন এবং জানান যে তিনি যুক্তরাজ্যে ফিরে আসতে চান।
শামীমা বেগম তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে আইএসের নিয়মকানুন ও শাসনের অধীনে ছিলেন। শামীমা বেগম তুরস্ক হয়ে সিরিয়ার রাক্কায় পৌঁছানোর পর একজন ডাচ-বংশোদ্ভূত আইএসযোদ্ধার সঙ্গে তার বিয়ে হয় এবং সেখানে তার তিনটি সন্তান হয়, যাদের সবাই মারা গেছে।
উল্লেখ্য, শামীমা এটি স্বীকার করেছিলেন যে নিষিদ্ধ সংগঠন জেনেই তিনি আইএসে যোগ দিয়েছিলেন এবং পরে তিনি এও বলেছিলেন যে এই দলে যোগ দেওয়ার জন্য তিনি লজ্জিত ও দুঃখিত।
‘জিহাদি বধূ’ হিসেবে সংবাদমাধ্যমে পরিচিত শামীমার বর্তমান বয়স ২৪ বছর এবং তিনি সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আল-রোজ নামক এক বন্দিশিবিরে বসবাস করছেন।