সাতক্ষীরার আশাশুনিতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। বুধবার (৬ মার্চ) ভোরে আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর ইউনিয়নের ধাপুয়া ব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছে আরও এক শিক্ষার্থী। আহত কলেজ শিক্ষার্থীকে আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত দুই শিক্ষার্থীরা হলেন, কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী ইউনিয়নের আমানিয়া গ্রামের নিরঞ্জন ঘোষের পুত্র নয়ন ঘোষ (১৯) ও একই গ্রামের জগন্নাথ ঘোষের পুত্র উইলিয়াম ঘোষ (১৮)। এসময় গুরুতর আহত হয়েছে একই এলাকার তারক ঘোষের পুত্র কর্নেল ঘোষ (১৯)। বর্তমানে আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা সবাই কালীগঞ্জ কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নয়ন ঘোষ, উইলিয়াম ঘোষ ও কর্নেল ঘোষ তিন বন্ধু এক সাথে মোটরসাইকেল যোগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কালীগঞ্জ থেকে তালা উপজেলার জেঠুয়া জালালপুর জগন্নাথ গুরুদেবের মন্দিরে একটা যোগ্য অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সারারাত সেখানে অনুষ্ঠান দেখার পর ভোরে তারা তাদের বাড়ি কালীগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে পথিমধ্যে দরগাহপুর কাদাকাটি সড়কে নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে নির্মাণাধীন ধাপুয়া ব্রিজের পিলারে এসে সজোরে ধাক্কা লেগে রাস্তার নিচে পানিতে পড়ে যান। এতে ঘটনাস্থলেই নয়ন ঘোষ ও উইলিয়াম ঘোষ নিহত হন। এ সময় গুরুতর আহত হন কর্ণেল ঘোষ। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তবে, স্থানীয়রা এক সময় অভিযোগ করেন, নির্মাণাধীণ এই ব্রিজের ঠিকাদার দীর্ঘদিন যাবত এখানে আংশিক কাজ করে ফেলে রেখেছেন। যা খুবই বিপদ জনক। প্রায়ই এখানে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন সাধারন যাত্রীরা। আশাশুনি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) বেলাল হোসেন জানান, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে তারা ঘটনা স্থল থেকে দুটি মরদেহ ও একটা মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিশ্বজিৎ কুমার অধিকারী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় কর্নেল ঘোষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান।