যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানালেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

চীনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে কঠোর জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেছেন, সব সময়ে এমনকি শান্তির সময়েও আমাদেরকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ভারত বিভিন্ন দিক দিয়ে যে বহুবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে তার প্রেক্ষিতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরেছেন। এনডিটিভি ডিফেন্স সামিটে বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন। রাজনাথ সিং বলেন- স্থল, আকাশ বা সমুদ্রপথে যেকোনোভাবে ভারতকে কেউ আক্রমণ করতে এলে শক্তিশালী জবাব দেবে ভারতের সেনারা। আমরা কখনো কারো ভূখণ্ড দখল করিনি। কিন্তু যদি কেউ আমাদেরকে আক্রমণ করে তাহলে উপযুক্ত জবাব দেয়ার মতো অবস্থানে আছি আমরা। কাশ্মীর ও লাদাখে চীনের সঙ্গে ভারতের যে উত্তেজনা অব্যাহত আছে, রাজনাথ সিং সেদিকে ইঙ্গিত করে কথা বলেছেন, এতে কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয়। পূর্বাঞ্চলে লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষের পর প্রায় চার বছর ধরে সেখানে মুখোমুখি অবস্থানে আছে ভারত ও চীনের সেনারা। তখন থেকেই দুই দেশের সেনাবাহিনী এবং কূটনৈতিক মহলে উচ্চ পর্যায়ে বহুবার আলোচনা হয়েছে।

কিন্তু বহুবিধ বিষয়ে তাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়ে গেছে। ফলে দৃশ্যত পরিস্থিতি শান্ত মনে হলেও তা নেই। সেখানে বিরাজ করছে উত্তেজনা। গত সপ্তাহে দিল্লিতে এক থিংক ট্যাংক ইভেন্টে বক্তব্য রেখেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি দুই দেশের মধ্যে শান্তি নিশ্চিত করতে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন বেইজিংকে।

 

এর আগে জানুয়ারিতে যেসব মন্তব্য করেছিলেন সেই কথারই যেন প্রতিধ্বনি শোনা গেছে রাজনাথ সিংয়ের কণ্ঠে। তিনি বলেছেন, ভারতকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও কৌশলগত শক্তি হিসেবে উত্থানের বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ব। ভারত ও চীনের মধ্যে বর্তমানে সম্পর্কে যে উত্তেজনা বিরাজ করছে, তা স্বীকার করেন রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, সবার সঙ্গে বন্ধুর সম্পর্ক চায় দিল্লি। এরপরই তিনি গালওয়ানে চীনের সেনাদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান নেয়া ভারতীয় সেনাদের সাহসের উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমরা এখন আর কোনো দুর্বল দেশ নই।

ওদিকে এনডিটিভি ডিফেন্স সামিটে রাজনাথ সিং ‘আত্মনির্ভর ভারত’ বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি দেয়ার বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার যখন ক্ষমতায় আসে, তখন আমরা আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার দিয়েছি প্রতিরক্ষা খাতকে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগে অনেককে উৎসাহী করা হয়েছে। আমাদের দৃষ্টি হলো সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়ন করা।

Check Also

বিএনপি নেতাকর্মীদের জড়িয়ে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দেবহাটায় মানববন্ধন

দেবহাটা প্রতিনিধি: স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুদের গ্রেফতার এবং বিএনপির …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।