দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনীতির বিষয়ে উৎসাহিত হয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের কাছে গিয়েছিলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। কিংস পার্টি গড়ার অংশ হিসেবে সাবেক দুজন সেনা কর্মকর্তা সাকিবকে তার বনানীর বাসায় নিয়ে যান। তবে মেজর হাফিজের কাছ থেকে রাজনীতিতে উৎসাহিত না হলে চলে যান সাকিব।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ভাইরাল হওয়া ছবি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে হাফিজ বলেন, ছবিটি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকটি সংবাদপত্র মনের মাধুরী মিশিয়ে নানা ধরনের সংবাদ প্রকাশ করছে।
হাফিজ বলেন, সাবেক কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা বিএনএম গঠন করে (দ্বাদশ নির্বাচনের আগে) আমাকে সেখানে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানায় এবং তারাই সাকিব আল হাসানকে নিয়ে আসে। সাকিব আমার কাছে এসে রাজনীতিতে যোগদানের ইচ্ছা জানায়। কিন্তু আমার কাছ থেকে উৎসাহ না পেয়ে সে চলে যায়। হাফিজের দাবি, তিনি এমন কিছু করেননি যার জন্য লজ্জিত হতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মেজর হাফিজ বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনের বেশ আগে থেকেই দেশে নানা ধরনের তৎপরতা শুরু হয়। আমি সামরিক বাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পরেও অনেক অবসরপ্রাপ্ত অফিসার, আমার সিনিয়র-জুনিয়র তাদের সঙ্গে আমার ওঠা বসা। তারা আমার বাসায় আসেন, আমি তাদের বাসায় যাই। এভাবে সেনাবাহিনীর পুরোনো সদস্য হিসেবে তাদের সঙ্গে আমার সখ্য গড়ে ওঠে। বিএনপির সঙ্গে মাঝে মাঝে আমার দ্বিমত থাকে। যা পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পায়। অনেকেই মনে করেছে বিএনপি ত্যাগ করার জন্য আমি উন্মুখ হয়ে আছি। সরকারের পক্ষ থেকে যারা যোগাযোগ করেছে তাদেরকে আমি বলেছি, ৩২ বছর পর আমার পক্ষে দল ত্যাগ করা সম্ভব না। বয়স হয়েছে, আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ, রাজনীতি থেকেই অবসর নিতে চাই।’
বিএনপির অন্যতম জ্যেষ্ঠ এ নেতা বলেন, ‘নির্বাচনের আগে সরকারের পক্ষ থেকে অনেক কিছু করা হয়েছে। যা আপনারা সবাই জানেন। আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকদের পক্ষ থেকে এবং কিছু অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা বিএনএমে যোগ দিতে আমাকে অনেকবার অনুরোধ করেছেন। বিশেষ করে অবসরপ্রাপ্ত বন্ধুরা কয়েকবার আমার বাসায় এসেছেন। আমি প্রত্যেকবার বলেছি যে, না এ ধরনের কোন চিন্তা ভাবনা আমার মধ্যে নেই। আমি রাজি হইনি।’
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ নির্বাচনের আগে কিংস পার্টিতে যোগ দিতে মেজর হাফিজের বাসায় গিয়েছিলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। গুঞ্জন রয়েছে সেখানে বিএনএমে যোগ দেওয়ার ফরম পূরণ করে মেজর হাফিজের হাতে জমা দেন তিনি। সেই ছবি ও সংবাদ সম্প্রতি রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে স্পষ্ট করতে আজ সংবাদ সম্মেলন ডাকেন মেজর হাফিজ।