গাজী বায়েজিদ হোসেন:পদ্মপুকুর ইউনিয়ন প্রতিনিধ। শ্যামনগরের পদ্মপুকুর ও গাবুরা এবং কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী উপকূলীয় এলাকায় মঙ্গলবার ওয়ান উম্মাহ এর অর্থায়নে আমান এন.জি ও এর সহযোগিতায় ২০০ অসহায় গরিব ও প্রতিবন্ধী মানুষের মধ্যে রমজানের ফুড প্যাক বিতরণ করা হয়। যার মধ্যে ছিল- চাউল :২৫ কেজি তেল:৫ কেজি খেজুর :১ কেজি ছোলা :২ কেজি চিনি :২ কেজি দুধ:৫০০ গ্রাম লবন:১ কেজি পাউডার ড্রিংক :৫০০ গ্রাম হলুদ গুঁড়া :২০০ গ্রাম মরিচ গুঁড়া :২০০ ধনিয়া গুড়া :১০০ গ্রাম নুডুলস :২ প্যাকেট সেমাই :২ প্যাকেট।
পদ্মপুকুর ইউনিয়ন প্রতিনিধি সূত্রে সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল ১১ টার দিকে পদ্মপুকুর ইউনিয়নের পাতাখালি গ্রামে উন্মুক্ত মাঠে রমজানের এই ফুড প্যাক বিতরণ করা হয়। এর আগে (আমান) এর সদস্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে রমজানের ফুড প্যাক বিতরণের স্লিপ দিয়ে আসেন। সেটি দেখিয়ে নির্দিষ্ট স্থান থেকে এসব ফুড প্যাক সংগ্রহ করেন অসহায় গরীব ও প্রতিবন্ধী রোজাদার ২০০ জন মানুষ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সারাফাতুর রহমান এক্সিকিউটি (আমান) রুহুল আমিন জুনিয়র এক্সিকিউটি (আমান)
সমাজকর্মী জি,এম, মাসুম বিল্লাহ, সাউদার্ন চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের আঞ্চলিক পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সিপিপি সদস্য আরাফাত হোসাইন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিউম্যান ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি, গাজী বায়েজিদ হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আসা বয়োবৃদ্ধ হায়দার আলী ফুড প্যাক পাওয়ার পর বলেন, আমার পরিবারের সদস্য ৯ জন আমি এই ফুড প্যাক পেয়ে রমজানে চিন্তা মুক্ত হতে পারছি। এজন্য দোয়া করি আল্লাহ তাদেরকে আরো দেবার সুযোগ করে দেক যারা আজ দিয়েছে।
এ কথা বলার সময় বয়োবৃদ্ধ হায়দার আলী কাকার চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরে গড়িয়ে পড়ছিল।
‘যারা ত্রানের জন্য ছুটে বেড়ায়, তারাই শুধু পায়। আমরা ছুটতি পারিনে, তাই পাইনে। তবে আপনারা খুঁজে খুঁজে দেন; দেখেন, কার আসলেই দরকার। এবার আমার বাড়িতে যেয়ে কাগজ দিয়ে আসলেন, সেই কাগজ নিয়ে এসে ফুড প্যাক পালাম। খুব খুশি লাগছে। গত রমজানে অনেক কষ্ট করছি, এ রমজানে কষ্ট দূর হবে।’ ফুড প্যাক হাতে পেয়ে কথাগুলো বলছিলেন গাবুরার উপকূল এলাকার বাসিন্দা আমিরুন বেগম (৮০)।