গাজা উপত্যকায় বেসামরিক নাগরিক হত্যা বন্ধ করতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আলটিমেটাম দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, গাজার বেসামরিক নাগরিক ও ত্রাণ সহায়তাকর্মীদের হত্যা বন্ধ না হলে হামাসবিরোধী লড়াইয়ে ইসরাইলকে আর সহায়তা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র।
হোয়াইট হাউস বলেছে, ‘তিনি (জো বাইডেন) স্পষ্ট করেছেন যে, গাজার বিষয়ে মার্কিন নীতিনির্ধারণ করা হবে উল্লিখিত বিষয়গুলো পূরণে ইসরাইল তাৎক্ষণিক কী পদক্ষেপ নেয় সেগুলোর বিষয়ে আমাদের মূল্যায়নের পর।’
হোয়াইট হাউস সরাসরি না বললেও এ বিষয়ে অনেক স্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেছেন, ‘দেখুন, আমি শুধু এটিই বলব যে—আমরা যে পরিবর্তনগুলো দেখতে চেয়েছি তা যদি আমরা দেখতে না পাই, তবে (ইসরাইলকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে) আমাদের নীতিতে পরিবর্তন হবে।’
তবে গাজায় বেসামরিক প্রাণহানি বন্ধে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীকে নির্দিষ্ট কোনো পরামর্শ যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে কিনা সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি হোয়াইট হাউস। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হুমকির অর্থ হলো—জাতিসংঘে ইসরাইলের প্রতি সমর্থন কমানো ও দেশটিতে অস্ত্র সরবরাহ ধীরগতি করার মতো পদক্ষেপ নিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন থিংকট্যাংক কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের বিশ্লেষক স্টিভেন কুক নেতানিয়াহু ও বাইডেনের মধ্যকার সম্পর্কের মধ্যে পরিবর্তন ঘটছে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘এটি অনেকটা সরাসরি যিশুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার মুহূর্তের—কাছাকাছি।’ ইংরেজি ভাষায় এই বাগধারা ব্যবহার করা হয় মূলত, যখন কোনো ব্যক্তি কঠিন হলেও তার আগের অবস্থান থেকে সরে এসে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেন।
অপর এক মার্কিন থিংকট্যাংক ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসির বিশ্লেষক ও বর্ষীয়ান সাবেক মার্কিন কূটনীতিক ডেনিস রস বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট (বাইডেন) কার্যত (নেতানিয়াহুকে) বলছেন, এই মানবিক চাহিদাগুলো পূরণ করুন নতুবা আমার কাছে (সামরিক) সহায়তার ওপর শর্ত আরোপ করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।’