কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে রোববার সাত জেলায় ১২ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে পটুয়াখালীর বাউফলে দুই জন, ঝালকাঠিতে তিন জন, ভোলার লালমোহনে দুইজন, মনপুরায় একজন, বাগেরহাটে একজন, পিরোজপুরে একজন, নেত্রকোনায় একজন ও খুলনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় বাউফলের তেতুলিয়া নদীতে আরো দুইজন নিখোঁজ রয়েছে।
বাউফল
পটুয়াখালীর বাউফলে কালবৈশাখী ঝড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও তেতুলিয়া নদীতে নিখোঁজ রয়েছে দুই জেলে। বিধ্বস্ত হয়েছে শতাধিক ঘরবাড়ি। বজ্রপাতে ১০টি গরুও মারা গেছে। নিহতরা হলেন বাউফলের নাজিরপুর গ্রামের জহির সিকদারের ছেলে মোহাম্মদ রাতুল শিকদার (১৫) এবং দাসপাড়া ইউনিয়নের চর আলগি এলাকার বৃদ্ধ সাফিয়া বেগম (৮০)। বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বশির গাজী বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
ঝালকাঠি
ঝালকাঠিতে রোববার ঝড় ও বজ্রপাতে স্কুলছাত্রীসহ তিন নারী নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার উত্তর তালগাছিয়া গ্রামের হেলেনা বেগম (৪০), শেখেরহাট গ্রামের মিনারা বেগম (৩৫) এবং পোনাবালিয়া গ্রামের মাহিয়া আক্তার এসানা (১১)। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝালকাঠির পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল জানান, বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়।
বাগেরহাট
বাগেরহাটে কালবৈশাখী ঝড়ে বজ্রপাতে কচুয়া উপজেলা চরসোনাকুড় গ্রামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা
খুলনায় কালবৈশাখী ঝড়ের সময় বজ্রপাতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া ওবায়দুল্লাহ গাজীর (৩৫) বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলার কোমলপুর গ্রামে।