বান্দরবানের রুমা বেতেল পাড়া থেকে ১৮ জন নারীসহ আরও ৪৯ জন কেএনএফ সদস্য আটক করেছে পুলিশ। এ পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর আটকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৬ জন।
সোমবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানান, রুমা থেকে নতুন করে আটক ৪৯ জনকে রাতে সাড়ে ৭টায় গাড়িতে করে বান্দরবান সদর থানা হেফাজতে নিয়ে আসা হয়। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষ আদালতে পাঠানো হবে।
এদিকে বান্দরবানে সেনাবাহিনী-র্যাব-পুলিশের পৃথক অভিযানে কেএনএফের ছয় সদস্য ও সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ারকে আটক করা হয়। এ সময় থানচিতে কৃষি ব্যাংক ডাকাতির সময় ব্যবহৃত জিপগাড়িসহ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রুমার সেনা জোনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কেএম আরাফাত আমিন জানান, রুমা সেনাবাহিনীর অভিযানে ব্যাথেল পাড়ায় অভিযান চালিয়ে ৭টি দেশি বন্দুক, ২০টি রাউন্ড গুলি, কেএনএফের পোশাক, বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় সন্দেহভাজন হিসেবে রুমা সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ার এবং কেএনএফের ৬ সদস্যসহ আটক করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, রুমা-থানচিতে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) তাণ্ডবের ঘটনায় রুমা-থানচিতে ৮টি মামলা হয়েছে। তাণ্ডবের ঘটনায় জড়িতদের ধরতে সেনাবাহিনী-র্যাব-পুলিশের সাড়াশি অভিযান চলছে রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি ও আলীকদম উপজেলায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানান, থানচি থেকে ১ জন এবং রুমা থেকে ৬ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। এর আগে সদরের স্যারণ পাড়া থেকে কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ককে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে সেনাবাহিনী-র্যাব-পুলিশের পৃথক অভিযান এ পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে কেএনএফ তাণ্ডবের ঘটনায় বান্দরবান জেলাজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের সাজোয়াযানসহ বিভিন্ন ধরনের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
অপরদিকে রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি উপজেলায় ব্যাংক বন্ধ থাকায় বান্দরবান জেলা সদরে সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় গ্রাহকের ভিড় দেখা গেছে। বেড়েছে ভোগান্তিও।
প্রসঙ্গত, গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক লুট এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ১৪টি অস্ত্র লুট করেছিল কেএনএফ। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৮টি মামলা হয়েছে। তার মধ্যে রুমায় ৪টি ও থানচিতে ৪টি মামলা হয়েছে।