ক্রাইমবাতা রিপোট: সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে সাতক্ষীরা, দিনাজপুর ও পিরোজপুরের নাজিরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে আজ বুধবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে।প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে জানা গেছে,সৌদির সাথে মিল রেখে সাতক্ষীরায় আজ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টায় সাতক্ষীরার ঘোনা ইউনিয়নের ভাড়ুখালি এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক মুসল্লি ঈদের জামাতে অংশ নেন। এছাড়া জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় সৌদির সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করা হয়েছে।সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা ইউনিয়নের ভাড়ুখালী বাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত ঈদের জামাতে ইমামতি ও খুৎবা পাঠ করেন হাফেজ মাওলানা মাহবুবুর রহমান।মুসল্লিরা বলেন, আমরা রমজান মাসের চাঁদ দেখে রোজা থাকি এবং শাওয়াল মাসের ১ তারিখে চাঁদ দেখে ঈদের নামাজ আদায় করি। আমরা অন্য অন্য দেশের সাথে মিল রেখে আজ ঈদ উদযাপন করছি।আরো বলেন, ১৯৮৬ সালে জর্ডানের আম্মান শহরে ওআইসির সম্মেলনে সমগ্র মুসলিম জাতিকে নিয়ে যে রেজুলেশন হয়েছিলো তাতে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করলেও তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। ঈদ ও রোজা একই সময়ে হবার কথা অথচ তা আলাদাভাবে পালিত হচ্ছে। ভেদাভেদ ভুলে সমগ্র মুসলমান জাতিকে একত্রিত হবার আহবান জানিয়েছেন মুসল্লিরা।
নামাজ শেষে মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক জানান, দিনাজপুর সদর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বিরল উপজেলার কাজিপাড়া, ধুকুরঝাড়ী, কাশিডাঙ্গাসহ প্রায় ১০-১৫ জায়গা থেকে মুসল্লিরা এই জামাতে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে আসেন।
এছাড়াও দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাইতাড়া, বিরল উপজেলার কামদেবপুর ও কাজিপাড়া, কাহারোল উপজেলার জয়নন্দ ও গড়েয়া এবং বিরামপুর উপজেলায় দুইটি গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে আজ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জেলায় ১৩টি উপজেলার মধ্যে ৬টি উপজেলার কয়েক হাজার পরিবার সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালন করছেন।
এদিকে পিরোজপুরের নাজিরপুরের শেখমাটিয়া ইউনিয়নের খেজুরতলা ইউপি সদস্য মো. বাবুল খান জানান, তারা প্রায় অর্ধশত পরিবারের ৬০ নারী ও পুরুষ স্থানীয় খেজুরতলা বাজারের আল-আমি মসজিদে বুধবার সকাল ৯টায় ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। ওই নামাজে ইমামতি করেন স্থানীয় স্কুল শিক্ষক মাওলানা মো. কামরুজ্জামান। তারা গত ১৫ বছর ধরে এ মসজিদে ঈদের নামাজ জামায়াতের সঙ্গে আদায় করছেন।এছাড়াও ওই মসজিদে নামাজ পড়তে আসেন পার্শ্ববর্তী বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা থেকে ১০-১২ জন মুসল্লি।
এছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার ৬ গ্রাম, কাউখালী উপজেলার ২টি গ্রাম, পিরোজপুর সদরের ২টি গ্রাম নিয়ে জেলার ১১টি গ্রামে এ ঈদ উৎসব পালন হচ্ছে।