অস্ট্রেলিয়ার পর ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত ইউরোপ

অস্ট্রেলিয়ার পর এবার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য দেশ স্পেন। এ বিষয়ে ‘স্পষ্ট ইঙ্গিত’ রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে সমর্থন আদায়ের জন্য সম্প্রতি কূটনৈতিক প্রচারণা শুরু করেছেন স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার অসলোতে নরওয়েজিয়ান প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্টোরের সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে আলোচনাও করেছেন তিনি।

বৈঠক শেষে সানচেজ জানিয়েছেন, ইইউর সদস্য দেশগুলো ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত। এ বিষয়ে তাদের মধ্যে ‘স্পষ্ট ইঙ্গিত’ রয়েছে।

এদিকে, ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মাইকেল বলেছেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে ইচ্ছুক ইউরোপীয় দেশগুলোকে একযোগে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলটিতে শান্তিপ্রতিষ্ঠায় ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ সম্ভব হবে।

ফিলিস্তিনকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য গত মাস থেকে একটি প্রচারণা শুরু করেছে স্পেন, আয়ারল্যান্ড, স্লোভেনিয়া এবং মাল্টা। এ সপ্তাহে ব্রাসেলসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মাইকেল জানিয়েছেন, ইইউর বাইরে সমমনা অন্য দেশগুলোও এই উদ্যোগে যোগ দিতে পারে।

বুলগেরিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, রোমানিয়া, সুইডেনসহ- ৯টি ইইউ সদস্য রাষ্ট্র এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনিদের রাষ্ট্রত্বের অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

এক্ষেত্রে ইইউর অবস্থান হলো, কেবল দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের শর্ত হিসেবেই তারা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।

মাইকেলের মতে, ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন উভয় কর্তৃপক্ষকে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান সম্ভবপর করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনার বিষয়ে চাপ দেওয়ার জন্য ইইউকে অধিক সুবিধা দিতে পারে সদস্য দেশগুলোর সমন্বিত স্বীকৃতি।

স্প্যানিশ সরকারের এক মুখপাত্র গত মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন, গাজার পরিস্থিতি এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি নিয়ে আলোচনার জন্য নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া ও বেলজিয়ামের নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী। আগামী বুধবার ব্রাসেলসে ইইউ’র ২৭ সদস্যের সম্মেলনের আগেই হবে এই আলোচনা।

গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলের বিষয়ে ইইউর অবস্থানকে কঠোর করার প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী সানচেজ। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে পারে স্পেন।

তার এই প্রচেষ্টা এরই মধ্যে বেশ সমর্থন লাভ করেছে। বেলজিয়ামের মন্ত্রীরা নিশ্চিত করেছেন, তারাও পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা এবং পূর্ব জেরুজালেম নিয়ে গঠিত

এর আগে, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াও।

Check Also

বিএনপি নেতাকর্মীদের জড়িয়ে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দেবহাটায় মানববন্ধন

দেবহাটা প্রতিনিধি: স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুদের গ্রেফতার এবং বিএনপির …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।