সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার বিকেলে এ ঘটনায় মামলা করা হলে পুলিশ ওই বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরীকে গ্রেপ্তার করেছে।
রোববার বেলা আড়াইটার দিকে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম সুজন সরকার।
ছাত্রীর মা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয় ছুটি হয়ে যায়। তখন তাঁর মেয়েকে শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করানোর কথা বলে নৈশপ্রহরী সুজন সরকার ডেকে নিয়ে যান। পরে কক্ষের দরজা-জানালা লাগিয়ে দিয়ে তিনি তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের বিষয়টি গোপন রাখার জন্য তাঁর মেয়েকে ভয়ভীতি দেখান ওই নৈশপ্রহরী। ভয়ে তাঁর মেয়ে বিষয়টি কাউকে জানাতে সাহস পায়নি। তবে চার-পাঁচ দিন আগে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন তার মেয়ে বিষয়টি তাঁকে (মাকে) জানায়।
শ্যামনগর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, এ ঘটনায় ওই শিশুর মা বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় শনিবার বিকেলে একটি মামলা করেন। পুলিশ ওই দিন রাত ১১টার দিকে অভিযান চালিয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গ্রেপ্তার সুজন সরকারকে আদালতের মাধ্যমে সাতক্ষীরা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে শিশুটিকে আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে।