নিজস্ব প্রতিনিধি: ইছামতি নদীর পাড় কেটে অবৈধভাবে পাইপ বসিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে মৎস্য রেণু প্রসেসিং পয়েন্ট। নদী পাড়ে সরকারি জমি দখল করে শতশত বিঘা জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে এ মৎস্য পয়েন্ট বা হ্যাচারী। যা বছরের পর বছর ধরে আসলেও বন্ধের উদ্যোগ নেন না পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ইছামতি নদীর পাড় ঘেঁষে নদী পাড়ের জমি দখল করে তৈরি করা হয়েছে ছোট বড় মৎস্য পয়েন্ট। যেখানে গভীরতা করে পানি আটকে রেখে নদীর রেণু মাছ বড় করা হচ্ছে। নদী পাড়ের জমিতে বাঁধ দিয়ে পানি আটকে রাখা এবং পাইপ দিয়ে পানি উত্তোলন করছেন দখলকারীরা। সেই সাথে জোয়ারের পরে ভাটিতে পয়েন্টের পানি পাইপ যোগে নদীতে ফেলায় ভাঙছে পাড়। এতে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে নদী পাড়ের কয়েক শত বিঘা জমির মৎস্যঘের, ফসলের মাঠ, বসতবাড়ির আঙিনা। বিশেষ করে ইছামতি নদীর টাউনশ্রীপুর স্লুইসগেট সংলগ্ন এলাকায় দেখা গেছে, নুর মোহাম্মাদ আলী ও তার ছেলে আবু হাসান এবং জোনাব আলী, দিন মোহাম্মাদের ছেলে আশরাফুল ইসলাম, করিম উল্লাহ, নুর মোহাম্মাদের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, জনৈক ইব্রাহিম, জনৈক অহেদ আলী, জিয়াদ আলীর ছেলে আফসার আলী, সাফাতুল্লাহর ছেলে আয়ুব আলী, জনৈক আব্দুল বেটলো, ইমান আলীর ছেলে পিন্টু ও মিন্টু পাড় দখল করে গড়ে তুলেছেন আলাদা আলাদা মৎস্য পয়েন্ট।
এবিষয়ে জোনাব আলী জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা নদীর পাড় কেটে মাছের পয়েন্ট করছেন। তাদের এই বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসার মাহাবুব রহমানসহ অনেকে জানেন। তিনি আরো জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন কাজ করে দেয় তাই বাড়তি সুবিধা পায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩ নং পোল্ডারের সেকশন অফিসার (এসও) মাহাবুব রহমানের জানতে চাইলে তিনি জানান, এসব বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। বিষয়টি সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে অপরাধ পরিলক্ষিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।