পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী। ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার। এক সময় দেশটির প্রভাবশালী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সচিব (অর্থনৈতিক সম্পর্ক) হিসেবেও কাজ করেছিলেন। বাংলাদেশে ৭ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের আগে ‘ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে কার্যত গা ঢাকা দিতে হয়েছিল’ চলতি মাসের শুরুতে এমন দাবি করে নানা আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুলেছিলেন।
ফের নতুন করে আলোচনায় পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী। এবার সরব বাংলাদেশে চীনা প্রভাব বৃদ্ধি এবং এর ফলে ভারতের জন্য সম্ভাব্য সকল হুমকি নিয়ে মুখ খুলে। সম্প্রতি, এসব বিষয়ে পিনাক রঞ্জন বেশ খোলামেলা কথা বলেছেন যা সোমবার (২৯ এপ্রিল) এবিপি লাইভে প্রকাশিত হয়েছে। জুলাই মাসের শুরুতে সম্ভাব্য ভারত সফরে দেশটির নতুন সরকারের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এক দেশের নেতার অন্য দেশে সফরে যাওয়া নিয়ে এর আগে ভারতের কোনো সমস্যা ছিল না। চীন যে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী সে বিষয়টি আমরা ভালোভাবেই অবগত। কিন্তু প্রশ্ন হল, এই সম্পর্ক কতটা বিকশিত হবে? সম্পর্কটা কি চীন ও পাকিস্তানের মতো হতে যাচ্ছে? আমরা জানি না৷ হয়ত তেমনটা হবে না। কিন্তু, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।”
তিনি বলেন, “তারা দুই দেশের মধ্যে ভারসাম্য আনতে চায়।
ভারত, বাংলাদেশ এবং চীনের মধ্যে আসল সমস্যার জায়গা হলো তিস্তা প্রকল্প- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, “যদি চীন তিস্তা প্রকল্পে জড়িত হয়ে পড়ে তবে আমাদের জন্য বাস্তবেই সেটা সমস্যা হবে কারণ তাতে চীনা শ্রমিকরা স্পর্শকাতর (ভারতের) শিলিগুড়ি করিডরের কাছাকাছি চলে আসবে৷ তারা সেখানে ডিভাইস লাগানো থেকে শুরু করে ভারতের কৌশলগত দিকে নজর রাখা পর্যন্ত সকল ধরনের কার্যক্রম চালাতে পারবে।”
ওদিকে, এবিপি লাইভ জানায়: শেখ হাসিনার জুলাই মাসের শুরুতে ভারত সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আবার, ওই মাসেই তিনি চীন সফর করবেন। সম্ভবত, নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য ভারত সফরে যাওয়া প্রথম বিশ্বনেতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে শেখ হাসিনার। ওই সফরে তিনি বাংলাদেশের কৌশলগত ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান চীনা পদচিহ্ন নিয়েও আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ, চীনের সহায়তায় ১.২ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি ‘বিএনএস শেখ হাসিনা’ চট্টগ্রামের কক্সবাজার জেলার পেকুয়ায় গত বছর কমিশন হওয়ার পর থেকে নয়াদিল্লির “উদ্বেগ বেড়েছে”।