দীর্ঘ খরতার পর সাতক্ষীরায় শীতল বৃষ্টিতে স্বস্তির পরশ

অবশেষে অগ্নিস্নানের পর ধরণীতে নেমে এলো স্বস্তির বৃষ্টি। দীর্ঘদিন খরতায় পুড়ে শীতল বৃষ্টিতে ভিজলো মাটি। ক্লান্ত শরীরে বৃষ্টির পরশে স্বস্তির আবেশে জেগে উঠলো মন। গাছ-গাছালি সতেজ হয়ে উঠলো। দীর্ঘদিন পর বৈশাখীর তাপদগ্ধ প্রকৃতিতে শীতল বৃষ্টির পরশ পেয়ে জীবকূলে নেমে আসে স্বস্তির আবেশ। সাতক্ষীরায় ১২ এপ্রিল থেকে শুরু হয় তাপপ্রবাহ। টানা তাপপ্রবাহে জনজীবন হয়ে ওঠে ওষ্ঠাগত। চরম অস্বস্তি নেমে আসে প্রকৃতিতে। এ সময় স্মরণকালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ উঠেছিল। গত ৩০ এপ্রিল সাতক্ষীরায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে কয়েক দফায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করে সরকার। রাস্তার পিচ গলে ক্ষির হয়ে যায়। গাছের পাতা আউরিয়ে শুকিয়ে যায়। খাল-বিল-পুকুর শুকিয়ে যায়। অনাবৃষ্টির আকাশ হতে ঝরেছে অগ্নিবর্ষণ। সাধারণ তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণে নেমে পড়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা। বৈশাখী খরতায় পুড়তে থাকে গোটা দেশ। এমনই অস্বস্তিকর পরিবেশে স্বস্তির আবেশ নিয়ে সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যায় অঝরধারায় ঝরেছে শীতল বৃষ্টি। বৃষ্টির সাথে হালকা ঝড়ো হাওয়ায় লাগে প্রশান্তির ছোঁয়া। দেহ-মন জেগে ওঠে মুহূর্তে। এরআগে সন্ধ্যায় ঘন কালো মেঘে ছেয়ে যায় আকাশ। জেলার সাত উপজেলার মানুষের মধ্যে দেখা দেয় উচ্ছ্বাস। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেঘ ও বৃষ্টির ছবি তুলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন সাধারণ মানুষ। এর আগে কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি কামনায় জেলাজুড়ে ইস্তিস্কার নামাজ আদায়ের খবর প্রকাশ হয় গণমাধ্যমে। এদিকে সোমবার দুপুরের দিকে জেলার বিভিন্ন নদ-নদীতে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। রবিবার সকাল থেকে বৃদ্ধি পায় মৌসুমী বায়ু প্রবাহের বেগ।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৯ মে সাতক্ষীরা জেলায় ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। এটাই ছিল জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। সে হিসাবে ২১ বছর পর সাতক্ষীরার তাপমাত্রার পারদ ঠেকল ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রিতে। আর এরমধ্য দিয়ে তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড গড়ল জেলাটি। তবে এবার দীর্ঘদিন তীব্র তাপপ্রবাহের পর সাতক্ষীরায় দেখা মিলল স্বস্তির বৃষ্টি। সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। এতে জনজীবনে অনেকটা স্বস্তি নেমে এসেছে। সাতক্ষীরা ভ্যানচালক রবিউল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরায় কয়েকদিনের গরমে রাস্তায় ভ্যান চালাতে খুব কষ্ঠ হয়েছে। গরমে ভ্যানে কেউ যেতে চায় না।

Check Also

যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।