প্রায় ২৩ লাখ টাকাসহ পাবনার সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহীনুজ্জামান শাহীনকে গতকাল সোমবার মধ্যরাতে আটক করে র্যাব। তার সঙ্গে থাকা ১০ সহযোগীকেও আটক করা হয়। আটকের পর আজ মঙ্গলবার (৭ মে) মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৬ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে সুজানগরের চর ভাবনীপুর থেকে তাদের আটক করে র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের সদস্যরা।
র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান বলেন, আটকের পর আজ মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে শাহীনসহ তার সহযোগীদের। তবে টাকাগুলো জব্দ করে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রার্থী শাহীনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি নির্বাচনী আচারণ বিধি লঙ্ঘন করেননি। তাকে সন্দেহেমূলক আটক করা হয়েছিল।
আটকের পর সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব কমান্ডার এহতেশামুল হক খান জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিনুজ্জামান ভোটারদার কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিতে টাকা ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
র্যাব কার্যালয় থেকে মুক্তির পর প্রার্থী শাহীনুজ্জামান বলেন, আমার নির্বাচনী ব্যয়সীমা ২৫ লাখ টাকা। প্রচারণার শুরু থেকে মাইক, পোস্টার, ভ্যানভাড়াসহ বিভিন্ন কাজে যে ব্যয় হয়েছে সে টাকা আমি প্রচারণা শেষে পরিশোধের চুক্তি করেছিলাম। ওই টাকাসহ সোমবার রাতে র্যাব আমাকে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে আসে। সকালে টাকার উৎস ও ব্যয়ের সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়ার পর নির্বাচনী আইন পর্যালোচনা করে তা আইনসম্মত হওয়ায় তারা বিষয়টি বুঝতে পেরেছে। এটা আসলে নিছক ভুল বোঝাবুঝি।
শাহীন আরও বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে আমার প্রতিপক্ষরা এই ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত। তারা এ ঘটনাকে নানা রঙ দিয়ে সাধারণ ভোটারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। তবে, আমি আমার দলের নেতাকর্মী ও সুজানগরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ। তারা এই মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। আমি নিশ্চিত ভোটের মাধ্যমেই তারা এর জবাব দেবে।