সরকারের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, যত জুলুম, যত লুটপাট এবং যত টাকা চুরি করেছেন- ক্ষমতাচ্যুতির পরে শাস্তিটা কিন্তু আকাশচুম্বী। ক্ষমা চাইবেন, সুযোগ পাবেন না। সুতরাং যারা যেখানেই ক্ষমতার অপব্যবহার করেন, জবাব একদিন দিতে হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের হতাশার কোন কারণ নাই। আমাদের কর্মীরা ক্লান্ত, কিন্তু হতাশ নয়। জেল-জুলুম-অত্যাচার ও নির্যাতনকে সহ্য করে এখনও বুক টান করে দাঁড়িয়ে আছে স্বাধীনতা রক্ষায়। এই স্বাধীনতা কেড়ে নেয়ার ক্ষমতা প্রতিবেশীদের নাই।
কারও নাই। আর প্রতিবেশীদের দালালি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশিদিন টিকতে পারবেন না। যারা অন্যায়ভাবে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকে তাদের পরিনতিটা কী, বিভিন্ন দেশের ইতিহাস পড়েন। তাই প্রধানমন্ত্রীসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যারা আমাদের সঙ্গে যতটুকু আচরণ করেন, এর ১০ ভাগের ১ ভাগও আচরণ আপনাদের সঙ্গে যদি করি তাহলে কী সহ্য করতে পারবেন? তা বহন করতে পারবেন?
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না, কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, জাসাসের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রোকন, ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসানসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।