প্রস্তাবে বলা হয়, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে নিরাপত্তা পরিষদে আবারও ভোটাভোটি হোক। এতে আপনাদের সমর্থন আছে কিনা। পরে ১৪৩টি দেশের ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়।
গেল সপ্তাহে নিরাপত্তা পরিষদে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন এবং তাদের পূর্ণ সদস্যপদ দেয়ার একটি প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। তবে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কারণে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়নি। এরপর ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি এবং পূর্ণ সদস্যপদ দিতে নিরাপত্তা পরিষদে আবারও ভোট আয়োজনের জন্য সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব তোলা হয়। আর এই প্রস্তাবের পক্ষে জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত চারভাগের তিন ভাগ দেশ ভোট দিয়েছে।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, আজকের এই ভোটটি ফিলিস্তিনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ, এটির মাধ্যমে তারা বেশকিছু অধিকার পেয়েছে। ফিলিস্তিন এখন থেকে সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব উত্থাপন বা এতে সমর্থন এবং সংশোধন করতে পারবে। সেই সঙ্গে ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি এখন থেকে সদস্য দেশগুলোর আসনে বসতে পারবেন এবং ফিলিস্তিন সক্রিয়ভাবে অধিবেশনে অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ছাড়া বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ যে ফিলিস্তিনের পক্ষে রয়েছে, সেটি এই ভোটের মাধ্যমে আবারও প্রকাশ পেয়েছে।
‘বিশ্ব ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে’- এমন মন্তব্য করে জাতিসংঘের ভোটকে স্বাগত জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তিনি বলেন, প্রস্তাব পাস থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে বিশ্ব ফিলিস্তিনের জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতার সঙ্গে এবং ইসরায়েলের দখলদারির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে।
ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ভোট দেওয়া রাষ্ট্রগুলো হলো—আর্জেন্টিনা, চেচনিয়া, হাঙ্গেরি, ইসরাইল, মাইক্রোনেশিয়া, নাউরু, পলাউ, পাপুয়া নিউগিনি এবং যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে ভোটদানে বিরত থাকা দেশগুলোর বেশিরভাগই ইউরোপের। এর মধ্যে জার্মানি, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রিয়া, ক্রোয়েশিয়া, ফিজি, ফিনল্যান্ড, জর্জিয়া, লাটভিয়া, লিথুনিয়া, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, রোমানিয়া এবং ইউক্রেন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ভোটদানে বিরত ছিল উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডাও।
ধারণা করা হচ্ছে, ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত করার জন্য নিরাপত্তা পরিষদে কোনো প্রস্তাব উত্থাপন করা হলে, যুক্তরাষ্ট্র এতে ভেটো দেবে। এর আগে গত এপ্রিলেও জাতিসংঘে পূর্ণ সদস্য হওয়ার প্রস্তাবে ফিলিস্তিনকে আটকে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।