জেনারেল আজিজের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশে চাঞ্চল্য

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার খবরে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে খবরটি এসেছে ভোররাতে। তখন বাংলাদেশের মানুষ সবাই ঘুমিয়ে। ঘুম থেকে উঠে তারা এই আলোড়ন সৃষ্টিকারী খবরটি দেখতে পান। জেনারেল আজিজ ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতি নিয়ে বরাবরই আলোচিত। যুক্তরাষ্ট্র অনেক আগেই তার ওপর নজর রাখছিল। ডনাল্ড লু’র সাম্প্রতিক ঢাকা সফরের পর সবাই ধারণা করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বোধ করি সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র যে তার নীতিতে অটল থাকে এটা তারই প্রমাণ। বিভিন্ন মহলের সঙ্গে বৈঠকের সময় ডনাল্ড লু আরও কিছু বিষয়ে ইঙ্গিত করেছেন। তার সফরের পর সরকারি মহলে যথেষ্ট উচ্ছ্বাস ছিল।

বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে। নানা সূত্রের খবর, পরবর্তী নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বিদেশে যারা টাকা পাচার করেছেন তাদের ওপর। যদিও এর কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য জানা যায়নি। 

ওদিকে আসলে জেনারেল আজিজের ভিসা বাতিল হয় ২০২১ সনে। তখন তার পরিবারের সদস্যদের ভিসা বাতিলের খবর ছিল না। ২০২১ সনের ১১ ডিসেম্বর মানবজমিনই  প্রথম এ খবরটি প্রচার করে।

তখন খবরে বলা হয়

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজকে যুক্তরাষ্ট্রে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তার মার্কিন ভিসা বাতিল করা হয়েছে । এক পত্র মারফত জেনারেল আজিজকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয়া হয়েছে। কাতারভিত্তিক টেলিভিশন নেটওয়ার্ক আল জাজিরায় জেনারেল আজিজের দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের খবর প্রচারের পর যুক্তরাষ্ট্র এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স মেন’ নামে রিপোর্টটি প্রচার করে আল জাজিরা।

 

 

এতে সামি (ছদ্মনাম) নামের হাঙ্গেরিতে বসবাসরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তির সহায়তায় হারিস আহমেদ নামের এক ‘আসামি’র পরিচয় প্রকাশ করা হয়। হারিস বুদাপেস্টে ‘মোহাম্মদ হাসান’ নামে বসবাস করছিলেন। তিনি আজিজ আহমেদের ভাই। আহমেদ পরিবারের বাকি সদস্যদের বিরুদ্ধেও নানা অপকর্মের অভিযোগ প্রকাশ করা হয়। আজিজ আহমেদ অবশ্য তখন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।

উল্লেখ্য, জেনারেল আজিজ আহমেদ ২০২১ সালের ২৪শে জুন অবসরে যান।

 

 

 

পাঠকের মতামত

এসব নিষেধাজ্ঞা নিষিদ্ধ ব্যাক্তিরা থোড়াই কেয়ার করবে। বাংলাদেশ সরকার আছে তাদের পাশে এবং বিকল্প ব্যাবস্থাও আছে। বাংলাদেশ সরকারের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান একটা বাতিল মালের চেয়ে বেশি কিছু নয়।

Please follow and like us:

Check Also

নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ, বাংলাদেশিদের মৌলিক স্বাধীনতা চর্চার সক্ষমতা দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের কথা আরও একবার জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে ২০শে জুলাই …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।