এ বছর দেশে রোপা আমন ধানের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে ৪০ কোটি ৪ লাখ টাকার প্রণোদনা দেওয়া হবে। ৬১টি জেলার ৫ লাখ ৬৬ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এ প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার পাবেন। একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য রোপা আমন ধানের উচ্চফলনশীল (উফশী) জাতের প্রয়োজনীয় ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাবেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারা খাত থেকে এ প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ ইতোমধ্যে জারি হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে শিগগিরই এসব প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মন্ত্রণালয়ের আরেক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন শহর বালিতে চলমান ১০ম ওয়ার্ল্ড ওয়াটার ফোরামের সাইডলাইনে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ এবং নেপালের বিদ্যুৎ, পানিসম্পদ ও সেচমন্ত্রী শক্তি বাহাদুর বাসনেতের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. তারিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ এবং নেপালের মধ্যে কৃষি খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এ সময় নেপালের মন্ত্রী বাংলাদেশের বরেন্দ্র অঞ্চলে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) প্রি-পেইড মিটারের মাধ্যমে সেচ ব্যবস্থাপনা ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেচ প্রযুক্তির প্রশংসা করেন এবং এ প্রযুক্তিটি নেপালের কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি জানান, নেপালের একটি প্রতিনিধদল সম্প্রতি বরেন্দ্র অঞ্চলে সরেজমিন প্রযুক্তিটি পরিদর্শন করেছে।
নেপালে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশের বিনিয়োগ কামনা করেন নেপালের বিদ্যুৎ, পানিসম্পদ ও সেচমন্ত্রী শক্তি বাহাদুর বাসনেত এবং ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানি করা হবে বলেও জানান তিনি। এসব বিষয়ে সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ।