গাজী বায়েজিদ হোসেন
আজ ২৮ মে, বিকেল পাঁচ ঘটিকার সময় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা পদ্মপুকুর ইউনিয়নের পাতাখালি গ্রামের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাধ পয়েন্টে মানববন্ধন করেন স্থানীয় তরুণ তরুণীদের কয়েকটি সংগঠন এবং স্থানীয় সর্বস্তরের জনসাধারণ।
এ সময়ে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন , মোল্লাপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি আব্দুল মাজেদ, পাতাখালি ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার শিক্ষক আবু তাহের, আকবার হোসাইন ও মাসুম বিল্লাহ , এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আকবর আলী, আব্দুর রহমান, স ম ওসমান গনি , গাজী আবু রায়হান , নিশাত মেহজাবিন স্বর্ণা, বিল্লা মুতাসিমসহ সুশীল সমাজের বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গরা।
সভাপতি আব্দুল মাজেদ বলেন, ঝড়ের সাথে নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে একদিকে রাস্তা সংস্কার অন্যদিকে নিজের পরিবারের জান মাল বাঁচাতে তৎপর থাকতে হয়।
তরুণী নিশাত মেহজাবিন স্বর্ণা , উচ্চস্বরে নিজের বাঁচা মরার দাবি কণ্ঠ উঠিয়ে স্লোগান দেন, আর চাইনা ভাসতে, চাই আমরা বাঁচতে!
মানববন্ধনে বক্তারা , ত্রাণ চাইনা টেকসই বেড়িবাধ চাই এই শিরোনাম বক্তব্য রাখেন। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক ওসমান গনিসহ স্থানীয় মাসুম বিল্লাহ্, সরকারি উদ্বর্তন কর্মকর্তাদের কাছে দাবী জানিয়ে বলেন, পাউবোর দায়িত্বহীনতার কারণে বারবার আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়। দুর্যোগের পূর্ববর্তী সময়ে জরাজীর্ণ বাঁধ গুলোর মেরামতের দিকে কোনো খেয়াল না থাকাই এ যেন বড় দায়িত্বহীনতার পরিচয় । আরো বলেন বাঁধ না বেঁধে অপেক্ষায় থাকেন এ সমস্ত কর্মকর্তারা। যাতে করে বাঁধ ভাঙলে কাজ করার নামে মোটা অংকের টাকা ঢুকাতে পারেন পকেটে।
এছাড়াও পাতাখালি ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মুক্তারুজ্জামান ও তরিকুল ইসলাম বলেন দুর্যোগ আসলেই স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের তাৎক্ষণিক তোড়জোড় দেখা গেলেও পরবর্তীতে এর কোন নাম গন্ধই থাকে না। এ যেন ঝড় আসলে আম পড়া প্রবাদ বাক্যের মত কাণ্ড।
এছাড়াও বক্তারা উপকূলীয় এলাকার মানুষকে বাঁচাতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।