নিখোঁজ জেলেরা হলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর এলাকার বাবুর আলীর ছেলে মোঃ সাইদুর রহমান (৪২), মোঃ হযরত আলীর ছেলে মোঃ হায়দার আলী (৩০) ও গোলাম রব্বানীর ছেলে লিফন (৩০)।
নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ২৫ মে পশ্চিম সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের কোবাদক ফরেস্ট স্টেশন থেকে পাস (অনুমতি পত্র) নিয়ে সুন্দরবনে মাছ ধরতে যান তারা। তাদের সাথে আরো একটি নৌকাসহ মোট দুইটি নৌকায় ৬ জন জেলে ছিল। বনে যাওয়ার দিন শনিবার (২৫ মে) মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের সাথে সর্বশেষ যোগাযোগ হয় পরিবারের সদস্যদের। ঘূর্ণিঝড় রেমালের পর থেকে গত এক সপ্তাহ তাদের সাথে আর যোগাযোগ করা করতে পারেনি পরিবারের সদস্যরা। নিখোঁজ স্বজনরা কোথায় আছে, কি অবস্থায় আছে? এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তারা।
তবে তাদের সাথে যাওয়া অন্য নৌকার জেলেদের সাথে যোগাযোগ হয়েছে নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের সদস্যদের।
তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের সদস্যরা জানান, ওই তিন জেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারাও তাদের খোঁজ করছেন।
অন্য নৌকার জেলে নিখোঁজ সাইদুর রহমানের বড় ভাই মাকসুদুল ইসলামের বরাত দিয়ে তার ভাই আবু সালেহ জানান, শনিবার (২৫ মে) কোবাদক ফরেস্ট স্টেশন থেকে পাস (অনুমতি পত্র) নিয়ে দুইটা নৌকায় ছয় জন ওই দিনই সুন্দরবনের মিশিনখালি এলাকায় পৌঁছায়। সেখান থেকে তারা দুইটি নৌকা দুই দিকে ভাগ হয়ে মাছ ধরতে থাকে। এরপর রোববার থেকে ওই তিন জেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা ঘূর্ণিঝড় রেমালের কবলে পড়েছে বলে জানান তিনি।
আবু সালেহ আরও জানান, তাদের নিখোঁজের খবর সুন্দরবনের কোবাদক স্টেশনে জানানো হয়েছে। আজ আমরা খুলনার নলিয়ান স্টেশন অফিসে যাচ্ছি।
এদিকে, কোবাদক স্টেশনের স্টেশন অফিসার মোবারক হোসেন বলেন, এখনো পর্যন্ত আমরা এমন কোনো খবর পাইনি। তবে আমরা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
পশ্চিম সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এ জেড এম হাছানুর রহমান জানান, সুন্দরবনের মাছ ধরতে যাওয়া তিন জেলে নিখোঁজের খবর পেয়েছি। আমরা যাচাই-বাছাই করছি কতজন গিয়েছিল এবং কতজন ফিরেছে। তথ্য পেলে দ্রুত নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে কাজ করবে বন বিভাগ।