নিজস্ব প্রতিনিধি: শিক্ষকতা একটি মহান পেশা উল্লেখ করে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি বলেন, শিক্ষায় জাতীয় মেরুদণ্ড তেমনি শিক্ষকরায় সেই মেরুদণ্ডের সবচেয়ে বড় অংশীদার বা অবদান। তাদের অবদান শেষ হবার নয়। একজন দক্ষ, স্মার্ট শিক্ষক তৈরি হতে প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই।বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ২০০৮ সালে সরকার গঠন করে।সেই বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল, উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের কাতারে চলে গেছে। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষকদের যেমন স্মার্ট হতে হবে, তেমনি স্মার্ট শিক্ষার্থী, স্মার্ট ক্লাসরুম ও স্মার্ট অভিভাবকও হতে হবে। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার শিক্ষকদের আইসিটি ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে দক্ষ শিক্ষক হিসেবে তৈরি করছে।যেটি সরকারের মূল উদ্দেশ্য বলে মনে করি।প্রশিক্ষণ নিয়ে আমারা বসে থাকবো না। আমরা সেটি কাজে লাগাবো।শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকদের বন্ধুর মতো সম্পর্ক থাকবে। যেটি শিক্ষার্থীর বড় হতে বা মানুষ হয়তে সাহায্য করে।আমরা যার যার দ্বায়িত্বগুলো যথাযথভাবে পালন।তাহলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কোন অসুবিধা হবে না।
শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের হল রুমে ১০ দিনব্যাপী আইসিটি ট্রেনিংয়ের সমাপনী ও সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি এসব কথা বলেন।
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আমানউল্লাহ আল হাদীর সভাপতিত্বে ও
সহকারী অধ্যাপক অলিউর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, কলারোয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এস এম আনোয়ারুজ্জামান, সাতক্ষীরা সরকারী কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আল মুস্তানসির বিল্লাহ, প্রশিক্ষক সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগ সহকারী অধ্যাপক কাজী আসাদুল ইসলাম, আইসিটি প্রভাষক দেবাশীষ দাশ।
সিইডিপি প্রজেক্টের প্রোগ্রাম অফিসার আব্দুস সালাম ১০দিনব্যাপী আইসিটি ট্রেনিংয়ের সমাপনী ও সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।
সিইডিপির সহযোগিতায় ও বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ১০দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত আইসিটি ট্রেনিংয়ের সমাপনী ও সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন, কলারোয়া সরকারি কলেজের প্রভাষক আক্তার বানু, শ্যামনগর সরকারি কলেজের প্রভাষক রাজু হোসেন।
স্মার্ট শিক্ষার্থী, স্মার্ট শিক্ষক, স্মার্ট ক্লাসরুম এটাই হলো এই প্রশিক্ষণের লক্ষ্য ও উদেশ্যে সাতক্ষীরা জেলা বিভিন্ন কলেজ থেকে ১০ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ৩০ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করে।