যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নিল হামাস

গাজার শাসক গোষ্ঠী হামাস জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। হামাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিস্তারিত নিয়ে আলোচনার জন্য তারা প্রস্তুত।

মঙ্গলবার হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মাহমুদ আল-মারদাভি এ তথ্য জানিয়েছেন।

ফিলিস্তিনি সামা নিউজ এজেন্সির বরাতে ইরনা জানিয়েছে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) একটি প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় আল-মারদাভি বলেছেন, তাদের লক্ষ্য গাজায় ইসরাইলের গণহত্যামূলক যুদ্ধের অবসান এবং অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করা।

তিনি বলেন, ‘আমরা গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাই এবং এটি বাস্তবায়নে মধ্যস্থতাকারীদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’

তবে যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই চুক্তির নিশ্চয়তা দিতে হবে দাবি জানিয়ে হামাসের এই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘মধ্যস্থতাকারীদের অবশ্যই যুদ্ধবিরতির বিষয়ে দখলদার ইসরাইলি সরকারের কাছ থেকে একটি প্রকাশ্য প্রতিশ্রুতি বা চুক্তি পেতে হবে, যাতে আমরা আলোচনায় বসতে পারি। সেইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই এই চুক্তির নিশ্চয়তা দিতে হবে’।

গাজার বাইরে থাকা সামি আবু জুহরি নামে হামাসের আরেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাও ঠিক একই কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তারা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন এবং বিস্তারিত আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তবে ইসরাইল এটি মেনে চলবে কিনা তা যুক্তরাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে।

এদিকে, ইসরাইলি নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তেলআবিবে বলেছেন, ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হবে। এই আলোচনা মঙ্গলবার বিকেল এবং আগামী কয়েক দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

তবে জাতিসংঘে ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভোটের পরে বলেছেন, তার দেশ এই ‘অর্থহীন এবং অন্তহীন’ আলোচনায় জড়িত হবে না, যা হামাসের জন্য উপকারী হতে পারে।

এর আগে, সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেওয়া গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়। তবে এই প্রস্তাবের বিস্তারিত এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

এদিকে, গাজা শহরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই শিশু। এছাড়া বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলের হামলায় এ পর্যন্ত ৩৭ হাজার ১৬৪ জন নিহত এবং ৮৪ হাজার ৮৩২ জন আহত হয়েছে।

বিপরীতে হামাসের হামলায় ইসরাইলে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,১৩৯ জন। সেইসঙ্গে এখনও কয়েক ডজন লোক গাজায় বন্দি রয়েছে।

Please follow and like us:

Check Also

নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ, বাংলাদেশিদের মৌলিক স্বাধীনতা চর্চার সক্ষমতা দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের কথা আরও একবার জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে ২০শে জুলাই …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।