এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান (আশাশুনি)সাতক্ষীরা।। আশাশুনিতে সড়কের উপর পল্টন ও এস্কেভেটর রাখায় জনভোগান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছেচে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার চাপড়ায় মেইন সড়ক থেকে মধ্যম চাপড়া এলজিইডির ২কি:মি: কার্পেটিংকৃত সড়কের উপর পল্টন ও এস্কেভেটর মেশিন রেখে সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে সড়কে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ও পায়ে হেটে চলাচলে ঝুঁকি পূর্ণ হওয়ায় জনভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত এক সপ্তাহ যাবৎ ১০ ফুটের চওড়া এই সড়কের উপর ১২ ফুটের পল্টন ও এস্তেভেটর রেখে যানবাহন চলাচল বন্ধ ও ভোগান্তি সৃষ্টি করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ২ কিলোমিটারের রাস্তা বন্ধ করে রাখায় মানুষকে ৭-৮ কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের এমন কর্মকাণ্ডে হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে বলে তাদের অভিযোগ ।
সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, আশাশুনি উপজেলা থেকে এক দেড় কিলোমিটার দুরে আশাশুনি সাতক্ষীরা সড়কে চাপড়া সিদ্দিক ডিলিয়ারের বাড়ির পেছনে ২ কিলোমিটার এলজিইডির কার্পেটিং রাস্তা। রাস্তার উপর বড় সাইজের দুইটা পল্টন ও একটি এস্কেভেটর মেশিন সম্পূর্ণভাবে রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সেগুলো সড়কের উপরে এমন ভাবে রাখা হয়েছে যে, পাশে এক ফুট জায়গাও খালি নেই।
এ সময় মধ্যম চাপড়া থেকে ইজি বাইক চালক মনিরুল ইসলাম যাত্রী নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয় এবং কোন উপায় না পেয়ে পুনরায় সে পেছনের দিকে ফিরে যেতে বাধ্য হন। তিনি জানান, না জেনে সে প্রথম এই পথে এসেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানান, গত এক সপ্তাহ আগে রাতের আঁধারে এগুলো এখানে রেখে গেছে। আমরা বারবার তাদের বলা স্বর্তেও তারা আমাদের কথা শুনেনি, বলেছে খাল খনন করা হবে যে কারণে এগুলো এখানে রাখা হচ্ছে।
স্থানীয় মাছ চাষী মনিরুল ইসলাম বলেন, এগুলো রাস্তায় রাখার ফলে আমাদের যাতায়াতে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এছাড়া সড়কের মধ্যে রাখার ফলে কার্পেটিং উঠে গেছে। এছাড়া প্রতিদিন স্কুলের ছেলেমেয়েরাসহ ৩/৪ গ্রামের মানুষ এই পথ দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। তারাও ভোগান্তির মধ্যে পড়ছে। তিনি দ্রুত এগুলো রাস্তা থেকে সরিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ডাবলু বলেন, কে বা কারা জিনিস গুলো রেখে গেছে আমার সাথে কোন যোগাযোগও করেনি। আমি এ বিষয়টা কোন ট্রেস পাচ্ছিনা। কয়েকদিন সড়ক বন্ধ থাকার কারণে এলাকার মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন বলে জানান তিনি।
আশাশুনি উপজেলা প্রকৌশলী নাজিমুল হক বলেন, কে বা কারা আমাদেরকে না বলে সড়কের উপরে পল্টন রেখেছে, যার ফলে সড়কের অনেক ক্ষতি হয়েছে আমরা কথা বলার মত কাউকে খুঁজে পাচ্ছিনা।
Check Also
যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …