এ সময় চার জোড়া অর্থাৎ ৮ জন কিশোর-কিশোরীর বাল্যবিবাহের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা গ্রহণ করা হয়। উক্ত নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর ৮ ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয় ।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার নাজমুন নাহার জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও তালা থানার ওসির সহযোগিতায় কিশোর-কিশোরী ক্লাবের জেন্ডার প্রমোটার, আবৃত্তি শিক্ষক ও সংগীত শিক্ষকরা ঈদ পরবর্তী ২/৩ দিনের মধ্যে ৪ জোড়া বাল্যবিবাহের আয়োজন গুলো বন্ধ করা হয়। সোমবার প্রত্যেককে অভিভাবক কাগজপত্রসহ তার কার্যালয়ে হাজির হয়। এ সময় অপ্রাপ্তবয়সী আট জনকে তাদের অভিভাবকদের হেফাজতে দিয়ে পুনরায় একই অপরাধ না করার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
তালা উপজেলার প্রসাদপুর, দাদপুর, বারুইহাটী, নওয়াপাড়া ও দোহার গ্রামে উক্ত বাল্যবিবাহ গুলোর আয়োজন করা হয়েছিল বলে জানান তিনি।
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আফিয়া শারমিন চার জোড়া বাল্যবিবাহের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।