সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুরে মন্দিরের প্রসাদ (খিচুড়ি) খেয়ে কাব্য দত্ত (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৪ জুন) রাত ১টার দিকে সাতক্ষীরা শিশু হাসাপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় নেয়ার প্রস্তুতিকালে মারা যায় সে।
কাব্য দত্ত কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের অশোক দত্তের নাতি এবং চুকনগর উপজেলার শৈলগাতি এলাকার উত্তম দত্তের ছেলে। এঘটনায় নারী শিশুসহ অন্তত ৭০জন অসুস্থ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, বানিয়ারজাঙ্গাল বাসন্তী পূজামন্দিরে প্রতি অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে হরিনাম সংকীর্তন আয়োজন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২জুন রাতে হরি নাম সংকীর্তন শেষে ভক্তদের মাঝে প্রসাদ হিসেবে খিচুড়ি প্রদান করেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। ওই প্রসাদ খেয়ে পরদিন ৭০-৭৫জন বমি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। আক্রান্তরা কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা আদ-দ্বীন হাসপাতালসহ বিভিন্ন জায়গায় ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে নানার বাড়িতে এসে প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ হওয়া শিশু কাব্য দত্তকে সাতক্ষীরা থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় নিয়ে যাওয়ার সময় রবিবার রাতে তার মৃত্যু হয়। নিহত শিশুর মরদেহ চুকনগরের শৈলগাতিতে বাবার বাড়িতে নেয়া হয়েছে। খিচুড়ি খাওয়ার পর কেন এত মানুষ অসুস্থ হলো সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন।