এস এম মোস্তাফিজুর রহমান (আশাশুনি) সাতক্ষীরা।। আশাশুনির পুইজালা হাটখোলা হতে বৌদির খেয়াঘাট পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা। এলাকাবাসী হুমকির মধ্যে রয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের পুইজালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণের সময় ২০১৭-১৮ সালে খোলপেটুয়া নদীর বৌদির খেয়াঘাট হতে পুইজালা হাটখোলা পর্যন্ত বেড়ীবাঁধে কার্পেটিং পিচের রাস্তা নির্মাণ করা হয়। ঘূর্ণিঝড় আম্ফান, ইয়াস ও রেমালের কারণে বেড়ীবাঁধ ও কার্পেটিং পিচের রাস্তাটি অনেকটা ধ্বসে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে এলাকাবাসী হুমকীর মধ্যে রয়েছে।
শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক দীপংকর বাছাড় দীপু জানান, তিনি গত ২ রা এপ্রিল সাতক্ষীরা পানি পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ বরাবর একটা চিঠি প্রেরণ করে দ্রুত রাস্তার কাজ শুরুর আহবান জানাই। কাজ শুরু না করলে যে কোন সময় বেড়ীবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে লোনা পানি ঢুকতে পারে। রাস্তাটি শ্রীউলা ইউনিয়ন ও আশাশুনি সদর ইউনিয়নের মানুষের একাংশের চলাচলের একমাত্র রাস্তা।
গণমাধ্যম কর্মী তৌষিকে কাইফু জানান, আনুলিয়া ইউনিয়নের কাকবাসিয়া খেয়াঘাট ও খাজরা ইউনিয়নের চেউটিয়া কাপসন্ডা খেয়া পার হয়ে একই রাস্তা দিয়ে আশাশুনি সদরে যাতয়াত করেন হাজার হাজার মানুষ। রাস্তাটি পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আগামী অমাবস্যার সময় আরো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তখন শ্রীউলা ও আশাশুনি ইউনিয়ন ঝুঁকির মধ্যে থাকবে। তিনি আরো বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান একাধিক বার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, এসডিইও ও সংশ্লিষ্ট এসও আব্দুল মোমিনকে জানিয়েছি। পাউবো কর্তৃপক্ষ টেন্ডারের মাধ্যমে বেড়ীবাঁধ সংস্কার করবেন বলে গত সোমবার সন্ধ্যায় জানান।
টেন্ডার প্রক্রিয়া সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যেতে যেতে অনেক দেরি হয়ে যাবে, তাতে করে চলতি বর্ষা মৌসুমে ঝুঁকির মধ্যে দিন কাটাতে হবে এলাকাবসীকে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এলাকার সচেতন মহল আহ্বান জানিয়েছেন।