এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান (আশাশুনি) সাতক্ষীরা।। আশাশুনিতে বেকার যুবদের স্বাবলম্বী করতে বিগত বিএনপি -জামাত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে সাবেক এমপি মরহুম মওলানা এ,এম রিয়াছাত আলী বিশ্বাস এর উদ্যোগে ও সাবেক সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী মরহুম আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মাধ্যমে সরকারিভাবে গড়ে তোলা হয়েছিল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মরহুম আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ উদ্বোধনও করেছিলেন। পরবর্তীতে আওয়ামী সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় উদ্বোধন করেন। এটি এতিম ও প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে নামকরণ করা হলেও বয়সভিত্তিক বেকারদের কর্মসংস্থান গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।
কিন্তু কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে নির্মাণ করা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অতি মূল্যবান যন্ত্রপাতিগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে শুধু জনবলের অভাবে। ব্যবহার না করার ফলে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সরকারি কোটি টাকার ওয়ার্কশপ মেশিনগুলো ইতোমধ্যে অকেজো হয়ে গেছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন। মেশিনগুলো ২০১৪ সালে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পাঠানো হলেও এখন পর্যন্ত নিয়োগ দেওয়া হয়নি দক্ষ প্রশিক্ষক। ফলে মেশিনগুলো চালু না করায় অযত্ন ও অবহেলায় নষ্ট হতে বসেছে সরকারি কোটি টাকার সম্পদ।
দাপ্তরিক সূত্রে জানা গেছে, আশাশুনি এতিম ও প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৪টি সেক্টরে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যার মধ্যে উড ওয়ার্কস ও উড কার্ভিং সেক্টরে প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন তরিকুল ইসলাম। ড্রেস মেকিং ও টেইলারিং সেক্টরে আলতাফ হোসেন প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। এনিমেল (পশু ও হাঁসমুরগি) প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত আছেন জেসমিন আরা। এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষক নিয়োজিত থাকলেও দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রাফট প্রশিক্ষণ মেশিনারিজ পদটি শূন্য থাকায় ওয়ার্কশপ প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এ অঞ্চলের বেকার শিক্ষার্থীরা।
সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে সরেজমিনে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে চাইলে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (সহকারী পরিচালক) ফারুক হোসেন বলেন, কোনো ছবি বা ভিডিও ফুটেজ নেওয়া যাবে না উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিষেধ আছে।
২০১৪ সাল থেকে পদটি শূন্য রয়েছে স্বীকার করে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরকে একাধিকবার চাহিদাপত্র প্রেরণ করলেও ওই পদের কোনো সুফল মেলেনি।
সাতক্ষীরা জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সন্তোষ কুমার নাথ বলেন, মূলত আশাশুনিতে অবস্থিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৫টি শাখায় প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও ৪টি চলমান আছে, বাকি একটি জনবলের অভাবে বন্ধ আছে দীর্ঘদিন। ওপর মহলকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আশা করি লোক নিয়োগ হলে আমাদের এখানে পোস্টিং দেওয়া হবে।
Check Also
যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …