আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে অতি অল্প সময়ে ভারতের ওপর নির্ভরশীল করার চক্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে রেল করিডোরসহ বিভিন্ন সমঝোতা সম্পর্কে সরকার জনগণের কাছে মিথ্যাচার করেছে। তারা (সরকার) আজ পর্যন্ত দেশের মানুষের কাছে কখনো সত্য কথা বলেনি, সব সময় প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। প্রতারণা করে মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে। যেসব সমঝোতা-চুক্তি সই করে এসেছে সেখানে পরিষ্কার করে বলা আছে, এসব সমঝোতা হয়েছে। সমঝোতাগুলোর অর্থই হচ্ছে- অতি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে নির্ভরশীল করে ফেলবে ভারতের কাছে। এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে।’
সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সমঝোতা-চুক্তি নিয়ে যেসব কথা বলছি সত্য কথা বলছি। কোনো ষড়যন্ত্রের কথা বলছি না। আমরা বলছি- এই অবৈধ সরকারই আজকে চক্রান্ত করছে বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল করার। ’
জঙ্গিবাদের নামে বিরোধীদের নির্যাতন করেছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘আমরা যেকোনো ধরনের জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। আমরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু এই সরকার জঙ্গিবাদের নাম করে তাদের বিরোধী পক্ষকে হয়রানি করেছে। তাদেরকে গ্রেফতার করেছে এবং কারাগারে নিক্ষেপ করেছে।’
বিকালে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নবনিযুক্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে আইনজীবীদের নিয়ে মির্জা ফখরুল মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন ও মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম, অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন প্রমুখ।
গত ৯ জুন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী মারা গেলে সেই পদে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীনকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি।
ফোরামের নতুন সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘দেশে আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য আজকে শপথ নিয়েছি। অল্প কিছু দিনের মধ্যে চেষ্টা করবো বিচার বিভাগের মাধ্যমেই আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার। সেজন্য সব আইনজীবী প্রস্তুত। জাতীয়তাবাদী আইনজীবীরা ঐক্যবদ্ধ থেকে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে এবং আমরা সফল হবো।’