ক্রাইমবার্তা নির্যাতিত মানুষের পাশে
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান (আশাশুনি) সাতক্ষীরা।। আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৪জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (১৩ জুলাই) বেলা ২টার দিকে খাজরা ইউনিয়নের গদাইপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ঘটনার সময় আনারস প্রতিকের প্রার্থী আলহাজ্ব অহিদুল ইসলাম ও তার কর্মীসমর্থকরা মোটরসাইকেল যোগে খাজরা ইউনিয়ন পরিষদের দিকে যাচ্ছিলেন। খাজরার সাবেক চেয়ারম্যান ও ঘোড়া প্রতিকের প্রার্থী আলহাজ্ব শাহ নেওয়াজ ডালিমের বাড়ি সংলগ্ন রাস্তায় পৌঁছালে ঘোড়া ও আনারস প্রতিকের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৪জন আহত হয়। এছাড়া আনারস প্রতিকের দুইজনকে আটকে রেখে পুলিশে সোপর্দ করা হয় বলে জানাগেছে। সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রার্থী অহিদুল ইসলাম বলেন, ঘোড়া প্রতিকের সমর্থক আমিরুল ইসলাম, মাসুদ রানা, তুহিন, আনারুল ইসলাম, রবি, হযরত আলী, ইউসুফ আলী, জুয়েল হোসেন, মোস্তাকিম, সিরাজুল ইসলাম সংঘবদ্ধ হয়ে আনারস প্রতিকের সমর্থকদের উপর হামলা চালায়।
ঘোড়া প্রতিকের প্রার্থী আলহাজ্ব শাহ নেওয়াজ ডালিম বলেন, তার বাড়ী সংলগ্ন রাস্তায় অবস্থানরত সাধারণ মানুষকে আনারস প্রতিকের সমর্থকেরা অন্যায় ভাবে সিমেন্টের ব্লক ছুড়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে। এঘটনায় রেহেনা পারভিন, সাইফুল ইসলাম সহ ৭/৮জন আহত হয়। হামলাকারীদের মধ্যে দুইজনকে আটক করে স্থানীয়রা। এ ঘটনার পর তুয়ারডাঙ্গা ও গদাইপুর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (দেবহাটা সার্কেল) মো. ফজলুর রহমান, আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিশ্বজিৎ কুমার অধিকারী, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম সহ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং উভয় পক্ষের সাথে কথা বলেছেন। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উভয় পক্ষ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে জানাগেছে।
