কোটা বাতিলের একদফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও হতাহতের ঘটনা বিচারবিভাগীয় তদন্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব ঘোষণা দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু মহল কোটা আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। এর ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল।
তিনি বলেন, আপনজন হারানোর বেদনা যে কত কষ্ট, তা আমার চেয়ে আর কেউ বেশি জানে না।
সরকারপ্রধান বলেন, আমি বিশ্বাস করি- যারা কোটা সংস্কার আন্দোলনে জড়িত, তাদের সঙ্গে এইসব সন্ত্রাসীদের কোনো সম্পর্ক নেই, বরং সন্ত্রাসীরা এদের মধ্যে ঢুকে সংঘাত ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।যারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে, তাদের পরিবারের জন্য জীবন-জীবিকার নির্বাহের ক্ষেত্রে যে সহযোগিতার দরকার তা আমি করব।