সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ, সহিংসতা ও সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত এক শিশুসহ ২১ জনের লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। রাজধানীর তিনটি সরকারি হাসপাতালের মর্গ থেকে গত তিন দিনে এই ২১ জনের লাশ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামকে দিয়েছে পুলিশ।
আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের দাফন সেবাকর্মকর্তা কামরুল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
লাশগুলো পাওয়ার পর সিটি করপোরেশন নির্ধারিত স্থান মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার এলাকায় দাফনের ব্যবস্থা করে সংস্থাটি।
আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম সূত্র জানায়, গত সোমবার সংঘর্ষে নিহত এক শিশুসহ নয়জনের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গ ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গ থেকে তাদের দেওয়া হয়। পরদিন মঙ্গলবার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) থেকে একটি লাশ পায় তারা। গতকাল বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গ থেকে নয়টি লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
এরপর ওই ২১ জনের লাশ মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার এলাকায় দাফন করা হয়েছে বলে জানায় সূত্রটি।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে লাশ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সোমবার ছয়জনের লাশ মর্গে আনা হয়। তাদের কারও শরীরে গুলি, আবার কারও শরীরে ছিল মারাত্মক জখমের চিহ্ন ।
আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের দাফন সেবাকর্মকর্তা কামরুল আহমেদ বলেন, ‘তিন দিনে পুলিশের কাছ থেকে বেওয়ারিশ হিসেবে ২১ জনের লাশ পেয়েছি।’ তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি তিনি।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকে ঘিরে সারাদেশে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষে ১৯৭ জন নিহত হয়েছেন। এসময় দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।