গত এক দশকে বিভিন্ন অপরাধে মালয়েশিয়ায় ১৬০০ জনেরও বেশি পুলিশ কর্মকর্তা ও কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শুধু চলতি বছরের জুন পর্যন্ত, ১১,২২১ জন কর্মকর্তা ও কর্মীকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিদর্শন করা হয়েছে, এর মধ্যে ৬৮৯ জনকে বিভিন্ন অসদাচরণের জন্য শনাক্তও করা হয়েছে।
পুলিশদের সম্মতির পরিপ্রেক্ষিতে, প্রায় ১০,০০০ থেকে ২০,০০০ পুলিশ কর্মীকে জাবাতান ইন্টিগ্রিটি এবং পেমাতুহান স্ট্যান্ডার্ড (জেআইপিএস) -এর কমপ্লায়েন্স শাখার মাধ্যমে সময়ে সময়ে নজরদারি এবং সরাসরি ইন্সপেক্ট করে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে।
দেশটির জিআইপিএস প্রতিষ্ঠার এক দশক উদযাপনের সময় মি: আজরি বলেছিলেন, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ফ্রন্টলাইনের কর্মীরা যারা আইন, প্রবিধান, নির্দেশিকা এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) মেনে তাদের দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করতে জনগণের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে এ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, কোনো কর্মকর্তা অসদাচরণে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেআইপিএস’র মূল নীতি হলো, ঘন ঘন ইন্সপেক্ট করা। আর যত ঘন ঘন ইন্সপেক্ট করবে, প্রতিরোধের মাত্রা তত বেশি হবে।
মি: আজরি উল্লেখ করে বলেন যে, মালয়েশিয়ার জাবাতান ইন্টিগ্রিটি এবং পেমাতুহান স্ট্যান্ডার্ড (জিআইপিএস) ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড অপারেশনস ব্রাঞ্চ, মূলত তাদের শনাক্তকরণ এবং যাচাইকরণ ইউনিট হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তারা হাজার হাজার অভিযান চালিয়ে ৭৯৮ জন পুলিশ অফিসারকে গ্রেপ্তার করেছে যারা জুয়া, মাদক এবং ইনআপ্রোপ্রিয়েট বিনোদন কেন্দ্রে যাতায়াত সহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত।
তিনি আরও বলছিলেন গত ১০ বছরেও, জিআইপিএস প্রায় ৫০,০০০ অভিযোগ এবং তথ্য পেয়েছে এবং তা পর্যালোচনা করেছে। বিশেষত দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অসদাচরণ সম্পর্কিত সমস্যাগুলির সাথে তারা জড়িত।
এছাড়া মে মাসের শুরুতে, একজন ইসরায়েলি নাগরিকের আগ্নেয়াস্ত্র কেনার সাথে জড়িত অভিযোগের তদন্ত বন্ধ করার জন্য একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ১ মিলিয়ন রিঙ্গিত যা প্রায় ২১৫,০০০ ইউএস ডলারের সমান ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দুইজন সিনিয়র পুলিশ অফিসারকে আদালতে অভিযুক্ত করা হয়েছিল, যা স্থানীয় মিডিয়াগুলো রিপোর্ট করেছে।
তাছাড়া, ৬ জন পুলিশ সদস্য ও সিনিয়র অফিসারকে দেশটির ১.২৫ মিলিয়ন রিঙ্গিত চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩ কোটি টাকার সমান।
।