বিএনপির ডাকা ‘জাতীয় ঐক্যে’র আহ্বানকে সমর্থন ও সাধুবাদ জানিয়েছে আরও ২৫টি রাজনৈতিক দল।
এর মধ্যে রয়েছে, ১২ দলীয় জোটে থাকা দলগুলো জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটে থাকা ১১টি দল, বাংলাদেশ লেবার পার্টি ও জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম।
এর আগে শনিবার কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমেদের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি বিএনপির ‘জাতীয় ঐক্য’কে সমর্থন জানান।
সরকার পতনের একদফা দাবিতে বিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে এক ছাতার নিচে আনার লক্ষ্যে শুক্রবার ‘জাতীয় ঐক্যে’র আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঐক্যে একাত্মতা ও সংহতি প্রকাশ করেছেন ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ‘জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। বাম-ডান সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং ব্যক্তি ও শক্তি একত্রিত হলে লুণ্ঠিত গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, অধিকারহীন জনগণ ও জাতির মুক্তি সম্ভব। আসুন সবাই একত্রিত হই, অবৈধ, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের একদফা দাবিতে সোচ্চার হই। জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে দেশ ও জাতির মুক্তি ত্বরান্বিত করি।’
জাতীয় ঐক্যে সমর্থন জানিয়ে বিএনপি মহাসচিবকে চিঠি দিয়েছে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট। এতে জোটের সমন্বয়ক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সভাপতি ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, সরকারের পদত্যাগের দাবিতে সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হতে বিএনপির জাতীয় ঐক্যের আহ্বানে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও এনপিপি সম্মতি জ্ঞাপন করছে।
অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ও মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম বলেন, দেশ ও জাতির দুঃসময়ে জাতীয় ঐক্যের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। জাতির চরম ক্রান্তিলগ্নে বিএনপি-জামায়াতসহ রাজনৈতিক, সামাজিক শক্তির ঐক্যের ঘোষণায় আওয়ামী ফ্যাসিবাদী অপশক্তির হৃদয়ে কম্পন শুরু হয়েছে। বিএনপির নেতৃত্বে ইস্পাত কঠিন ঐক্যের মাধ্যমে দেশকে দুর্নীতি, দুঃশাসন, লুটপাট, অর্থপাচারকারী ও ভারতীয় আধিপত্য অপশক্তির কবল থেকে রক্ষা করতে হবে।