বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে জিম্মি করে নির্যাতনের মুখে আন্দোলন বন্ধের স্টেটমেন্ট নেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ। একই সঙ্গে আন্দোলন চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তারা। রোববার রাতে টেলিগ্রাম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তারা এ ঘোষণা দেন।
তিনি আর বলেন, ‘আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই- পূর্বে উত্থাপিত ছাত্র হত্যার দায়ে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা প্রার্থনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। দেশবাসীর প্রতি আহবান, আপনারা কোনো প্রকার বিভ্রান্ত হবেন না। যে কোটার জন্য সরকার এতোগুলা মানুষকে হত্যা করেছে, সেই হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’
সিনিয়ররা আগেই নির্দেশনা দিয়েছিলেন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিল, সমন্বয়কদের মাঝে এক গ্রুপকে তুলে নিয়ে গেলে বাকিরা নেতৃত্ব দেবে। কাউকে যদি আটক করে জোরপূর্বক কোনো বিবৃতি আদায় করা হয় তবে আমরা সেটা না মেনে যারা মাঠে থাকব, তারা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
সহ-সমন্বয়ক রিফাত রশিদ ফেসবুকে লিখেন, “গণস্বাস্থ্য থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার আগে নাহিদ ভাই, আসিফ ভাই এবং বাকের ভাই তিনজনই স্পষ্ট করে বলেছিলেন, ‘আমরা যদি না-ও থাকি আন্দোলন চালাইয়া নিবা, আন্দোলন যাতে থেমে না থাকে। আমাদের ওপর অনেক ঝড়-ঝাপটা যাবে, যারা বাইরে থাকবে তারাই অন-কমান্ডে থাকবে।’ তাই সিনিয়রদের শেষ কথাগুলোকে বুকে ধারণ করেই আমরা আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। জোরপূর্বক আদায় করা বিবৃতি বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ প্রত্যাখ্যান করেছে।”
আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার মধ্যে আরও রয়েছেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ, মো. মাহিন সরকার, সহ-সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন, মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ, খান তালাত মাহমুদ রাফি (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়)।
আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বিবৃতি আদায় ছাত্রসমাজ মেনে নেবে না।