জাতীয় পার্টির যৌথ সভায় সর্বসম্মতভাবে ছাত্রদের অধিকার আদায়ের বৈষম্য বিরোধী কোটা আন্দোলনের প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন ও অহিংস ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় পার্টি। রোববার বনানীস্থ জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয় মিলনায়তনে পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদেরের সভাপতিত্বে এই যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নেয়া অন্য সিদ্ধান্তগুলো হলো- আন্দোলনে নিহত ছাত্র-জনতার পরিবারের প্রতি সমবেদনা, আন্দোলনের ন্যায্য দাবি শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে দমনের প্রক্রিয়াকে তীব্র নিন্দা, নিহত আবু সাইদসহ শহীদদের মামলার এজাহারে প্রকৃত মৃত্যুর কারণ না দিয়ে মিথ্যা এজাহার দাখিলের নিন্দা, নিহত ছাত্র/ছাত্রীরা বীর মুক্তিসেনা হিসেবে আখ্যায়িত হবে এবং একটি নিরপেক্ষ কমিশন গঠনের মাধ্যমে প্রকৃত শহীদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে, ছাত্র হত্যার সঙ্গে জড়িত সকল সরকারি কর্মকর্তা, উস্কানিদাতাকে আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের হয়রানি/ নির্যাতন না করার আহ্বান, কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গ্রেপ্তারকৃত সকল ছাত্র ও নেতৃবৃন্দকে অনতিবিলম্বে মুক্তির দাবি, ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পরিবার পরিজনকে সম্মানজনক ক্ষতিপূরণ প্রদান ও আহতদের সুচিকিৎসা দাবি, অনতিবিলম্বে দেশের ইন্টারনেটসহ সকল সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমসমূহ খুলে দেয়ার আহ্বান, সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। জাপার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভা মনে করে কেপিআই ভুক্ত স্থাপনাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহের নিরাপত্তা প্রদানের দায়িত্ব সরকারের, সরকার এই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে, এই দায় সরকার এড়াতে পারেনা এবং অনতিবিলম্বে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। সেইসঙ্গে প্রকৃত ছাত্রদের হল প্রশাসনের মাধ্যমে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সহিংসতায় নিহত ও আহত সাংবাদিকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
সভার সিদ্ধান্তগুলো গণমাধ্যমে তুলে ধরেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু। এরপর তিনি বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন আছে। আন্দোলনরত ছাত্ররা রাজনৈতিক দলগুলোকে সরাসরি পাশে চায়নি বলেই আমরা তাদের সঙ্গে মাঠে ছিলাম না।
তিনি বলেন, কোন মন্ত্রী বা এমপি’র বাড়িতেতো হামলা হয়নি। সেখানে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু সরকারি স্থাপনাগুলো রক্ষায় তাদের কোন উদ্যোগ ছিল না।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী প্রমুখ।