নিরাপত্তা হেফাজত নিয়ে প্রশ্ন

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সমন্বয়কদের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ‘নিরাপত্তা হেফাজত’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজ্ঞরা। তাদের মতে এ ধরনের ব্যবস্থা আইন বহির্ভূত এবং সংবিধানের সুস্পষ্ট লংঘন। আদালতের অনুমতি ছাড়া এভাবে কাউকে আটক রাখা বেআইনি। তবে ডিবি’র পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে সমন্বয়কদের নিরাপত্তার জন্যই হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, গত কয়েকদিনে পাঁচ সমন্বয়ককে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়। এরা হলেন, সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার ও নাহিদ ইসলাম। পরে আরও দুই সমন্বয়ক ও এক শিক্ষককে তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। এরা হলেন-আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নুসরাত তাবাসসুম ও জাবি শাখার অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেল এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাব।

অন্যদিকে ডিবি হেফাজতে সমন্বয়কদের নির্যাতন করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামের মা মমতাজ নাহার। তারা নাহিদের সঙ্গে দেখা করতে ডিবি কার্যালয়ে গেলেও তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, আন্দোলনকারীরা ঝুঁকিমুক্ত হওয়ার পরই তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার কথা চিন্তা করা হবে। অন্যদিকে সমন্বয়কদের নিরাপত্তার জন্য আনা হলেও আন্দোলনের নানা বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।
এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থনসহ গ্রেফতারদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

জানা যায়, শনিবার সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকে হেফাজতে নেয় ডিবি। এর আগে শুক্রবার অপর তিন সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার ও নাহিদ ইসলামকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটক করা হয়।

এছাড়া রোববার নতুন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসরাত তাবাসসুম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফকেও তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেন স্বজনরা। পাশাপাশি ব্র্যাকের সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাবকেও তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। এদের মধ্যে রোববার নুসরাত এবং আসিফকে তুলে নেওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে ডিবি। এছাড়া রোববার রাতে ডিবি কার্যালয় থেকে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে দেওয়া বিশেষ ভিডিও বার্তায় নুসরাতকে দেখা গেছে।

নিরাপত্তা হেফাজতের বৈধতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইন বিশেষজ্ঞ ও সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক রোববার যুগান্তরকে বলেন, নিরাপত্তা হেফাজত বলতে আইনে কিছু নেই। হয় তাদের গ্রেফতার দেখাতে হবে, না হয় তাদের ছেড়ে দিতে হবে।

এ প্রসঙ্গে সুপ্রিমকোর্টের আরেক সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না যুগান্তরকে বলেন, পুলিশ নিজেদের অপরাধ ঢাকতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়ার কথা বলছে। কিন্তু বাস্তবে এ ধরনের আটক পুরোপুরি বেআইনি।

হেফাজতে নেয়ার ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতির বাধ্যবাধকতার বিষয়টি উল্লেখ করে সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, কাউকে নিরাপত্তা হেফাজতে নিতে হলে প্রথমত অবশ্যই আদালতের অনুমতি নিতে হবে। এছাড়া নিরাপত্তা হেফাজতের জন্য পৃথক কোনো স্থান এবং আলাদা কর্তৃপক্ষের কাছে রাখতে হবে। কোনো ভাবেই পুলিশ এভাবে কাউকে নিরাপত্তা হেফাজতে নিতে পারে না। আইন অনুযায়ী কাউকে আটক করা হলে অবশ্যই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে আদালতে হাজির করতে হবে।

দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, নিরাপত্তা হেফাজত একেবারেই ঠুনকো অজুহাত। শিক্ষার্থীদের আটক করে তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ সুস্পষ্টভাবে সংবিধানের ৩৩ ও ৩৫ ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে।

আরিফ ও নুসরাতকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ : ঢাবি শিক্ষার্থী নুসরাত তাবাসসুমকে ডিবি পরিচয়ে রোববার ভোর ৫টায় মিরপুরের একটি বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয় বলে অন্য সমন্বয়ক ও স্বজনরা জানিয়েছেন। অন্যদিকে আরিফ সোহেলকে শনিবার রাত পৌনে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন আমবাগান এলাকার ভাড়া বাসা থেকে ডিবি ও সিআইডি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবার। আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুল হান্নান মাসউদ ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেল ও নুসরাত তাবাসসুমকে ভোরে সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে। অবিলম্বে তাদের সন্ধান ও মুক্তি চাই। তিনি বলেন, আমাদের একের পর এক সমন্বয়ককে আটক করা হচ্ছে। আমরা পালিয়ে বেড়াচ্ছি এবং আতঙ্কিত।

আরিফ সোহেলের বাবা আবুল খায়ের জানান, রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাসার নিচে ৮-১০ জন এসে দরজায় ধাক্কা দেন। তারা নিজেদের ডিবি ও সিআইডির লোক বলে পরিচয় দেন। দরজা খুলে দিলে তারা বাসার দ্বিতীয়তলায় এসে প্রথমে সবার মোবাইল ফোন নিয়ে নেন। তারা জুয়েলের কম্পিউটারের পাসওয়ার্ড নিয়ে কম্পিউটারের বিভিন্ন ড্রাইভ চেক করে বেশ কয়েকটি ছবি তোলেন। এরপর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আরিফ সোহেল ও জুয়েলের সঙ্গে কথা বলবেন জানিয়ে তৈরি হতে বলেন। জুয়েলকে কেন যেতে হবে জানতে চাইলে তারা আন্দোলনসহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার জন্য যেতে হবে বলে জানান। পরে আরিফ ও জুয়েল তাদের সঙ্গে বের হন।

তিনিও ছেলেদের সঙ্গে যেতে চেয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ালে তাকে উঠতে বলা হয়। তিনি গাড়ির সামনে থেকে সরে উঠতে গেলে গাড়িটি দ্রুত সেখান থেকে চলে যায়। পরে বিভিন্ন থানা ও সাভারে ঢাকা জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি (উত্তর) কার্যালয়ে গিয়ে সন্তানদের খোঁজ পাননি। একপর্যায়ে বড় ছেলে জুয়েলের মোবাইল ফোনে কল করলে জানতে পারেন, তারা তাকে কিছুদূর নিয়ে নামিয়ে দিয়ে শুধু আরিফকে নিয়ে গেছে। আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম সায়েদ বলেন, জাবি শাখার কোনো সমন্বয়ককে এই থানায় আনা হয়নি। ঢাকা জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবির (উত্তর) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ডিবি পরিচয়ে রাতে কাউকে তুলে আনার বিষয়টি আমার জানা নেই।

ব্র্যাকের সাবেক শিক্ষক আসিফের খোঁজে বাবা-মা : রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি পুলিশ কার্যালয়ের সামনে রোববার অপেক্ষায় ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাবের বাবা-মা। তারা বলেন, শনিবার রাত ১টার দিকে আসিফ মাহতাবকে উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরের ১০/এ সড়কের বাসা থেকে ডিবি পরিচয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সকালেই তারা দুজনে মিন্টো রোডে ডিবি অফিসে ছেলের খোঁজে আসেন। ছেলের সঙ্গে অনেকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন, কিন্তু কোনো খবর পাচ্ছেন না তারা। পাঠ্যবইয়ের শরীফ থেকে শরীফা গল্পের পাতা ছিঁড়ে আলোচনা-সমালোচনায় আসেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই শিক্ষক।

ডিবি অফিসে কিসের নিরাপত্তা-সমন্বয়ক নাহিদের মায়ের প্রশ্ন : সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামকে ডিবি হেফাজতে নির্যাতন করা হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তার মা মমতাজ বেগম। রোববার বিকাল সাড়ে ৪টায় নাহিদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মা মমতাজ বেগম, দুই ফুপু, এক খালা ও তার স্ত্রী। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে নাহিদের পরিবার ডিবি কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করলেও তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

নাহিদের মা মমতাজ বেগম বলেন, আমরা নাহিদের সঙ্গে দেখা করতে ডিবি কার্যালয়ে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের মিন্টো রোডে প্রবেশ করতে দেয়নি। নাহিদের স্ত্রী ও খালা পুলিশের সঙ্গে কথা বললে তাদের জানায়, ভেতরে যাওয়া যাবে না। মমতাজ বেগম বলেন, ডিবি বলছে নিরাপত্তার কারণে তাদের কাছে রেখেছে। সন্তান মা-বাবার কাছে নিরাপদ। ডিবি অফিসে কিসের নিরাপত্তা?

শিক্ষার্থীদের মুক্তি দাবি ঢাবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকদের : কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থন ও গ্রেফতারদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকরা। রোববার বিকাল সোয়া ৩টায় বিভাগের শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক জেরিন আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নির্যাতনে জাবি শিক্ষকদের উদ্বেগ : দেশব্যাপী কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হত্যা, হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাবি শিক্ষকরা। তারা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেলকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়ার প্রতিবাদে সমাবেশ করেছেন। রোববার দুপুরে ক্যাম্পসের পুরাতন ফজিলাতুন্নেসা হলসংলগ্ন নবনির্মিত শহীদ মিনারের সামনে এ সমাবেশ করা হয়। নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মানস চৌধুরীর সঞ্চালনায় দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন, বাংলা বিভাগের শামীমা সুলতানাসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা এতে বক্তব্য রাখেন।

আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তায় হেফাজতে নেওয়া হয়েছে-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ছিল, সেটি তারা জানিয়েছিলেন। এ কারণে তাদের নিরাপত্তার জন্যই হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, তাদের গ্রেফতার করা হয়নি। নিরাপত্তা ঝুঁকিমুক্ত হওয়ার পরই তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার কথা চিন্তা করা হবে।

আন্দোলন নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে-হারুন : নিরাপত্তার স্বার্থে সমন্বয়কদেরকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। রোববার দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ডিবি প্রধান বলেন, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যারা ধ্বংসলীলা চালিয়েছে, বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন লাগিয়েছে।

কেউ যদি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে, তারা যদি বিভিন্ন জায়গায় বলে, তাদের সঙ্গে যে কোনো সময় যে কোনো কিছু হতে পারে, এটা জানার পর আমাদের নৈতিক দায়িত্ব তাদের নিরাপদে নিয়ে আসা। তাদের কতদিন হেফাজতে রাখা হবে, সেটি সমন্বয়কদের সঙ্গে এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানানো হবে।এক প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, যেহেতু তারা নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের কাছে, তারপরও তাদের সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন বিষয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। আন্দোলনের সময় তাদের সঙ্গে কারা কারা যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছে, কারা কারা তাদের উসকানি দিয়েছিল। আমরা তাদের কাছে এসব বিষয়ে জানতে চেয়েছি। তারা কিছু নাম ও নম্বর আমাদের দিয়েছে।

Check Also

বিএনপি নেতাকর্মীদের জড়িয়ে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দেবহাটায় মানববন্ধন

দেবহাটা প্রতিনিধি: স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুদের গ্রেফতার এবং বিএনপির …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।