কোটা সংস্কার আন্দোলনের মিছিলে গিয়ে গ্রেপ্তার উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র আলফি শাহরিয়ার মাহিমকে (১৬) বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, রংপুর পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র আলফি শাহরিয়ার মাহিম (১৬)। বর্তমানে তিনি এখন রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছে। গত ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের মিছিল রংপুর জিলা স্কুলের গেট থেকে বের হয়। ওই দিন মাহিম তার স্কুলে গিয়েছিল স্কুল ড্রেস পরেই বন্ধুদের সঙ্গে ওই মিছিলে মিশে যায়। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাচ্ছিলেন না পরিবারের লোকজন, অবশেষে হাসপাতাল, থানা পুলিশ সব জায়গায় গিয়ে তার কোনো খোঁজ মেলেনি। পুলিশ গত ১৮ জুলাই তাজহাট থানার সহিংস ঘটনার সময় আলফি শাহরিয়ার মাহিমকে মডার্ন মোড় থেকে গ্রেপ্তার করে তাজহাট থানার ভেতর পেছনে হাত বেঁধে মেঝেতে বসিয়ে রাখে। যখন সেখানে হামলাকারীরা ব্যাপক সহিংসতায় থানায় হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে তখন পুলিশসহ তাকে পুলিশের গাড়িতে রংপুর কোতোয়ালি মেট্রোপলিটন থানায় নেওয়া হয়।
এদিকে ভুক্তভোগীর বোন সানজানা আখতার স্নেহা ফেসবুকে একটি পোস্ট দিলে এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমার ছোট ভাই মো. আলফি শাহরিয়ার মাহিমকে আবু সাঈদ হত্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। তার বয়স ১৬ বছর ১০ মাস। সে রংপুর পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ (এইচএসসি ২৫)-এর ছাত্র।’
এ বিষয়ে রংপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আবু মারুফ হোসেন (অপরাধ) সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘১৮ জুলাই যখন থানায় হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট হয় তখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জিন্সের প্যান্ট ও স্যান্ডো গেঞ্জি পরা অবস্থায় আটক হয় মাহিম। পরে তাকে পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘যেহেতু ১৮ ও ১৯ তারিখে সংঘাত-সংঘর্ষ নিয়ে পুরো ফোর্স ব্যস্ত ছিল, সে কারণে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা সম্ভব হয়নি। মূলত ২০ জুলাই থেকে আমরা যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে গ্রেফতার করেছি। বিষয়টি জানামাত্র পুলিশ কমিশনার মহোদয় সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, যেহেতু মাহিম ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল না, আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল মাত্র, জামিনের মাধ্যমে তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।’