এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান (আশাশুনি)সাতক্ষীরা।।যারা খারাপ কাজ করে তারা জানেনা কেন করছে। যারা অন্যায় ভাবে নিরিহ মানুষকে হত্যা করছে তারা কিন্তু জালেম হিসাবে পরিচিত হচ্ছে। আমরা দেশের নাগরিক, দিন শেষে আমরা বাঙালী। আমাদের সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। কেউ দোষী হয়ে থাকলে স্বাক্ষ্য প্রমানসহ আসলে আইনের আওতায় নেওয়া হবে। দেশকে দেশের নিরিহ মানুষকে শান্তিতে থাকার সুযোগ করে দেওয়া আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে আজকে আমরা নতুন করে দেশ পেয়েছি। দেশকে সুন্দর ভাবে পরিচালনা, আইন শৃংখলা রক্ষা করা, খুন জখম, লুটপাট, ভাংচুর, অগ্নিকান্ড ঘটতে দেওয়া যাবেনা। আমরা স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে মাঠে নেমেছি। আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা থাকলে দ্রুত লক্ষ্যে পৌছাতে পারবো।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৫.৩০ টায় আশাশুনিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, জন প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় প্রতিনিধি, শিক্ষক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অংশ গ্রহনে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে আশাশুনিতে দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা মেজর মারুফ উপরোক্ত কথা বলেন। মেজর মারুফ আরও বলেন, আপনারা যে কোন পরিস্থিতিতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহন করতে আমরা চেষ্টা করবো। আমরা আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে উপজেলাকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে চাই।
মতবিনিময় সভায় উপজেলা বিএনপির আহবায়ক স ম হেদায়েতুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক আজহারুল ইসলাম মন্টু, সদস্য সচিব মশিউল হুদা তুহিন, সাবেক সভাপতি/আহবায়ক ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুছ, উপজেলা জামাতের আমীর আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষার, নায়েবে আমীর মাওঃ নুরুল আফছার মোর্তজা, ইউপি চেয়ারম্যান মাওঃ আবু বক্কর ছিদ্দীক, সাবেক সেক্রেটারী এবিএম আলমগীর হোসেন পিন্টু, সহকারী সেক্রেটারী সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এড. শহিদুল ইসলাম, বিএনপি নেতা রাশেদ আহমেদ খোকা, , যুগ্ম আহবায়ক তুহিন উল্লাহ তুহিন, প্রভাষক জাকির হোসেন ভুট্ট, সাদিক আনোয়ার ছোট্টু বৈষম্য বিরোধী ছাত্র অন্দোলন সমন্বয়কারী তাহমিদ হোসেন আকাশ, আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ আবু নাহিয়ান হাবিব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তাগণ বলেন, আমরা নির্যাতিত, মামলায় জর্জরিত, ধন সম্পদ লুটে নেওয়া হয়েছে, স্থানীয় অপরাধীসহ সারাদেশে হত্যা, দুঃশাসন ও নির্যাতনকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের ব্যবস্থা করার আহবান জানান তারা। তারা আরও বলেন, আমরা সন্ত্রাস, নাশকতা, হত্যা, হানাহানি, লুটতরাজ, বাড়ি ঘর ভাংচুর কিছুই চাইনা। আমরা গ্রামে গ্রামে পাহারা দিতে শুরু করেছি। বিশেষ করে সংখ্যা লঘুদের বাড়ি ঘর, উপাসনালয় পাহারার ব্যবস্থা করেছি। কোন রকম অপরাধ হতে দেবনা। তারা সেনাবাহিনীর সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে যাবেন বলে অঙ্গীকার করেন।
অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদ হোসাইন, ভাইস চেয়ারম্যান এস এম সাহেব আলী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসলেমা খাতুন মিলি, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আঃ হান্নান, ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ছাকি পলাশ, প্রেস ক্লাবের সভাপতি জি এম আল ফারুক, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জি এম মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস কে হাসান,সাবেক কোষাধ্যক্ষ এস,এম মুস্তাফিজুর রহমান, আপন বাংলার- আরিফুল ইসলাম,জামায়াতের ডাক্তার রোকনুজ্জামান, মাওলানা রুহুল আমিন, আলহাজব দেছের আলী সহ বহু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, ছাত্র সমাজ ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।