বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম লিখেছেন, প্রথমেই নাহিদ এবং আসিফকে অভিনন্দন। এটা যেমন তাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ একটি অর্জন তেমনি দেশের মানুষের স্বার্থে আত্মত্যাগও বটে। কারণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে থাকার কারণে সামনের ইলেকশনে তাদেরকে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
সারজিস লিখেছেন, আমি বিশ্বাস করি তারা দুজন এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে পুরো দেশের মানুষের প্রাণের দাবিগুলোর প্রতিনিধিত্ব করবে, জনগণের রায় বাস্তবায়ন করতে চাপ প্রয়োগ করবে, আমাদের আস্থার প্রতিবিম্ব হয়ে উঠবে ৷
তিনি লিখেছেন, ২০২৪ সালের এই অভ্যুত্থানে অন্যতম বড় অর্জন-বাংলাদেশের মানুষ তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্বে দেখতে চায়, দেশ গঠনে সামনের সারিতে প্রত্যাশা করে ৷
তিনি আরও লিখেছেন, এই তরুণদের মধ্যে কেউ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে থাকবে, কেউ রাজপথে থাকবে৷ কেউ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর নেতৃত্বে এসে নতুন করে ক্যাম্পাসগুলোকে ঢেলে সাজাবে আবার কেউ হয়তো সংসদে দেশের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করবে৷ দেশের মানুষ যদি চায়, নিশ্চয় ভবিষ্যতে কোনো একটি ক্ষেত্রে দেখা হবে ইনশাআল্লাহ৷
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টার পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই অন্তর্বর্তী সরকারে রয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ। শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।